আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) :স্বাধীন দেশগুলোর বিরুদ্ধে পশ্চিমারা যেভাবে নিষেধাজ্ঞার অবৈধ ব্যবহার করছে সেকথা উল্লেখ করে দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবৈধ নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
একতরফা এসব নিষেধাজ্ঞাকে তারা একটি হাতিয়ার হিসেবে অভিহিত করেন। মন্ত্রীদ্বয় বলেন: পশ্চিমা ব্লক সবসময় নিষেধাজ্ঞাকে অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ তার প্রমাণ। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনায় শুধুমাত্র রাশিয়াই নয়, বিশ্ব অর্থনীতি এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন অংশে বিশেষ করে পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকায় খাদ্য সরবরাহকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওই অমানবিক ও অবৈধ নিষেধাজ্ঞার নেতৃত্ব দিচ্ছে আমেরিকা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম নিষেধাজ্ঞা প্রদানকারী দেশ। দেশটি তাদের পররাষ্ট্র নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে অন্যান্য দেশের ওপর সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে। তাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। নিষেধাজ্ঞায় ওয়াশিংটনের ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে ব্রিটেনও রয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞাগুলি মার্কিন এবং পশ্চিমা নীতি ও কর্মের বিরোধিতার অজুহাতে আরোপ করা হয়। কখনও কখনও নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশগুলোকে হুমকিপূর্ণ বলে দাবি করেও চাপানো হয়।
বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্প প্রশাসনের মতোই প্রতিদ্বন্দ্বী বা ওয়াশিংটন-বিরোধী দেশগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পদ্ধতি অব্যাহত রেখেছে। সর্বোচ্চ চাপের প্রচারণার অংশ হিসেবে ইরানের ওপর ইতিহাসের সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পাশাপাশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া, চীন, ভেনিজুয়েলা, কিউবা, সিরিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলোর ওপর একতরফা বহু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
একতরফা মার্কিন এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরোধী জাতিসংঘ। তারপরও পশ্চিমারা নিষেধাজ্ঞা আরোপকে হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগিয়ে আসছে। আর তার ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়টি বিবেচনা করে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক একটি জোট গঠনসহ ঐক্যবদ্ধ কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তা করা হলে পশ্চিমারা সমন্বিত চাপ প্রয়োগের এ কৌশল নিয়ে পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে। এদিক বিবেচনা করেই পশ্চিমাদের একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরুদ্ধে ইরান ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিয়েছে।#
342/