গত দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনের মধ্যকার শীর্ষ সম্মেলনে এমন অবস্থান স্পষ্ট করেছেন চীনা নেতারা। সম্মেলনে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদেরকে বলেছেন, বেইজিং তার নিজের মতো করে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালাবে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, তিনি আশা করে আমেরিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষার জন্য নয় বরং স্বাধীন অবস্থান গ্রহণ করবে ইউরোপের দেশগুলো।
ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেইজিংকে বলেছে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে রাশিয়াকে কোনো সুযোগ দেয়া মোটেই উচিত হবে না। পরে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন জানান, দুই পক্ষ বহু ইস্যুতে পরিষ্কারভাবে বিপরীত মত দিয়েছে তবে আশা করা হচ্ছে- গুরুত্বপূর্ণ শক্তি ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীন যুদ্ধ বন্ধের জন্য রাশিয়ার ওপর তার প্রভাব খাটাতে পারে।
ভন ডার লিয়েনের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে সাহায্য করার জন্য আমরা চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে চীন রাশিয়ার বিষয়ে অন্ধ হয়ে থাকতে পারে না।” তিনি আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞা এড়াতে রাশিয়াকে যেকোনো ধরনের সাহায্য ইউক্রেন যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করবে।
সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেন সংকট সৃষ্টির মূল কারণ হলো ইউরোপে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে উত্তেজনা এবং এই সংকট সমাধানের জন্য সব পক্ষের নিরাপত্তা উদ্বেগকে বিবেচনায় নিতে হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত চীন এই অভিযানের জন্য মস্কোর বিরুদ্ধে নিন্দা জানায় নি, এমনকি একে আগ্রাসন বলতেও রাজি হয় নি। সামরিক অভিযানের কয়েক সপ্তাহ আগে রাশিয়া ও চীন ঘোষণা করেছিল যে, তাদের কৌশলগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো সীমা-পরিসীমা নেই।#
342/