‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
শুক্রবার

৮ এপ্রিল ২০২২

২:২০:৪৫ PM
1246023

পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতার নেপথ্যে: বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলাভি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার যে আদেশ দিয়েছিলেন ওই আদেশ বাতিল করার পক্ষে রায় দিয়েছে সেদেশের সুপ্রিম কোর্ট। বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা প্রস্তাবকে 'অসাংবিধানিক' আখ্যা দিয়ে ৩ এপ্রিল খারিজ করে দয়েছে পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : পরে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন হতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশন বলেছে এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়, সময় আরও বাড়াতে হবে। এরইমধ্যে গতকাল অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া এবং জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি চালিয়ে যেতে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

মুসলিম লীগ (নওয়াজ), পিপলস পার্টি এবং জমিয়তে ওলামা-ই-ইসলামসহ ১১ দলের সমন্বয়ে গঠিত বিরোধী জোটের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট শুনানি শেষে সংসদীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পক্ষে ওই রায় দিলো। ওই রায়কে ইমরান খান বিরোধীরা তাদের বিরাট বিজয় হিসেবে দেখছে। কেননা সংসদ চালু হলে তাদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ইমরান খান আবারও প্রধানমন্ত্রী হতেন এবং সংসদে তাঁর ক্ষমতা আরও বেশি দৃঢ় হতো বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

এ বিষয়ে পাকিস্তান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ফারজাদ আমিন বলেন: সংসদ ভেঙে দেওয়া ইমরান খানের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ ছিল। এর ফলে বিরোধী জোট তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল তা ব্যর্থ হয়ে যেত। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কি থাকবেন না-সে রায় সরাসরি ব্যালটবাক্সের মাধ্যমে নির্ধারিত হতো।

ক্ষমতাসীন তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের কিছু সদস্য সংসদে বিরোধী দলে যোগ দেওয়ায়, দল এবং ইমরান খানের জন্য অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির বিষয়টি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।

মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকটের পেছনে রয়েছে বিদেশি হস্তক্ষেপ। তার পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সঙস্থার ভেতরেও অসন্তোষকে কেউ কেউ দায়ী বলে মনে করেন। মুদ্রাস্ফীতিসহ অর্থনৈতিক সংকটও বিরোধী জোটকে সুযোগ করে দিয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তুলতে। অপরদিকে নওয়াজ শরীফের পরিবারের প্রতি সৌদি সমর্থনের বিষয়টিও বিবেচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সৌদি আরব এবং আমেরিকা পাক সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়টিকেও উপেক্ষা করা ঠিক হবে না বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা।#


342/