‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
রবিবার

২৪ এপ্রিল ২০২২

১০:২৪:৪৬ AM
1251159

ইফতার পার্টিতে হাজির বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার

ভারতের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জেডি(ইউ) নেতা নীতিশ কুমার ‘আরজেডি’র ইফতার পার্টিতে উপস্থিত হওয়ায় রাজ্যটিতে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণের জল্পনা শুরু হয়েছে।

হলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): আজ (শনিবার) হিন্দি গণমাধ্যম ‘এবিপিলাইভ ডটকম’  সূত্রে প্রকাশ, ‘আরজেডি’ নেতা ও রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী তেজ প্রতাপ যাদব বলেছেন, ‘সরকার গঠন হবে, খেলা হবে, নীতীশজির সঙ্গে আমাদের গোপন কথা হয়েছে। একই সময়ে, তেজ প্রতাপ আরও বলেছেন, আমরা এরআগে নীতীশ কুমারের জন্য একটি ‘নো এন্ট্রি বোর্ড’ লাগিয়েছিলাম, কিন্তু এখন আমরা তাকে ‘এন্ট্রি’ দিয়েছি।   এখন তিনি এসেছেন, তাই সরকারও গঠন হবে।’   

 শুক্রবার বিহারের রাজধানী পাটনায় রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের বাড়িতে ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। বিশ্লেষকদের মতে, ওই ইফতার পার্টি কার্যত একটি বড় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার,  নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে তার বাসভবন থেকে পায়ে হেঁটে ‘আরজেডি’ নেতাদের আমন্ত্রণে ওই ইফতারে  আসেন।  উভয়পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক তিক্ততা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সম্ভাব্য উত্তরসূরি তেজস্বী যাদব সহ  রাবড়ি দেবীর (সাবেক মুখ্যমন্ত্রী) গোটা পরিবার মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ  কুমারকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান।   

তেজস্বী-নীতীশ একসঙ্গে এলে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যাবে   

নীতীশ কুমার  আরজেডির সঙ্গে এলে বিহারে  রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যাবে। ২৪৩ আসনের বিধানসভায়, আরজেডি’র ৭৬ জন বিধায়ক,  জেডিইউয়ের ৪৫ এবং ১জন স্বতন্ত্র। নীতীশ কুমার যদি আরজেডির সঙ্গে যান, তবে জিতনরাম মাঝির দল  ‘হাম’ও তার সঙ্গে যাবে। এরফলে কংগ্রেস, বামফ্রন্ট ও ‘মিম’ছাড়াই  সরকার গঠন হতে পারে। অর্থাৎ আরজেডি-৭৬ জেডিইউ-৪৬ এবং ‘হাম’-এর ৪ বিধায়ক মিলে ১২৬ হবে। সরকার গঠনের জন্য ১২২ জন বিধায়কের প্রয়োজন।  

নীতীশ কুমার, চিরাগ পাসওয়ান এবং তেজস্বী যাদবের একত্রিত হওয়ার প্রশ্নের জবাবে এলজেপি নেতা চিরাগ পাসোয়ান বলেন, ‘না, এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। ইফতারকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা মোটেও সঙ্গত নয়।’ 

 অন্যদিকে, ইফতারে যোগ দেওয়ার পর বিজেপি নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী শাহনওয়াজ হুসেন বলেন, ‘আমি এবং সুশীল মোদীজি ইফতার দিয়েছিলাম, নীতীশ কুমারও এসেছিলেন। এখানে ইফতার দিয়েছেন তেজস্বী যাদব। আমাদেরও ডাকা হয়েছিল, আমরা এসেছি। এতে কোনো রাজনৈতিক ইস্যু বের করার দরকার নেই।’

এরআগে ২০১৭ সালে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে শেষবারের মতো রাবড়ি দেবীর বাড়িতে গিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। তখন তিনি ‘আরজেডি’র সঙ্গে জোট করে সরকার চালাচ্ছিলেন। নীতিশ কুমার পরে  সম্পর্ক ছিন্ন করে ‘বিজেপি’র  সঙ্গে হাত মেলান।  কিন্তু বিজেপির সঙ্গে বর্তমানে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না নীতিশ কুমারের।  উভয়পক্ষের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। সেই পরিস্থিতিতে আরজেডির ইফতারে নীতিশ কুমারের উপস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলে নয়া সমীকরণের জল্পনা শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, তেজস্বী যাদব এবং তার বড় ভাই তেজ প্রতাপ যাদব এবারের অনুষ্ঠানের সমস্ত প্রস্তুতি করেছিলেন। এতে বিহারের সব জেলা থেকে মুসলিম সমাজের লোকজন ও অন্যান্য ব্যক্তিত্বদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়। #

342/