আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): গণমাধ্যমে প্রকাশ, আজ শ্রীনগরে ইয়াসিন মালিকের বাড়ির কিছু দূরে কিছু প্রতিবাদী লোকজন জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীকে টার্গেট করে পাথর নিক্ষেপ করে। নিরাপত্তা বাহিনী এ সময়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল নিক্ষেপ করলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের সভাপতি ইয়াসিন মালিকের শাস্তির জন্য দিল্লির ‘এনআইএ’ আদালতে শুনানি চলছিল। ওই বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের আগে, বুধবার শ্রীনগরের কিছু অংশ বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
ইয়াসিন মালিককে ১২১ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ‘ইউএপিএ’- এর ১৭ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উভয় সাজা একই সঙ্গে চলবে বলে জানিয়েছে আদালত। এছাড়া ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
গত ১৯ মে ‘এনআইএ’ আদালতের বিশেষ বিচারক প্রবীণ সিং বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) অধীনে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন।
এরআগে গত ১০ মে, ইয়াসিন মালিক আদালতকে বলেছিলেন, তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মুখোমুখি হতে চান না। মালিক বর্তমানে দিল্লির তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন।
ইয়াসিন মালিকের পক্ষে আদালতে বলা হয়েছিল, ১৯৯৪ সালে অস্ত্র ছেড়ে দেওয়ার পর আমি মহাত্মা গান্ধীর নীতি অনুসরণ করেছি এবং তারপর থেকে আমি কাশ্মীরে অহিংস রাজনীতি করে আসছি। আদালতে ইয়াসিন বলেন, আমি যদি ২৮ বছরে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত থাকি, যদি তদন্ত সংস্থা তা প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি রাজনীতি থেকেও অবসর নেব, ফাঁসি মেনে নেব। আমি সাত জন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করেছি।
এ দিকে, ওই ইস্যুতে ‘গুপকার জোট’ পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন (পিএজিডি) এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ‘পিএজিডি’ ইয়াসিন মালিককে দেওয়া শাস্তিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেছে এবং এটিকে শান্তি প্রচেষ্টার জন্য একটি ধাক্কা বলে অভিহিত করেছে।
‘পিএজিডি’র মুখপাত্র ইউসুফ তারিগামি বলেছেন, ইয়াসিন মালিককে দেওয়া শাস্তি দুর্ভাগ্যজনক এবং শান্তির প্রচেষ্টার জন্য একটি ধাক্কা। এই কারণে, পিএজিডি আশঙ্কা করছে যে কাশ্মীর উপত্যকায় অনিশ্চয়তা আরও বাড়বে এবং এরফলে বিচ্ছিন্নতা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব আরও উৎসাহিত হবে বলেও মন্তব্য করেন ‘পিএজিডি’র মুখপাত্র ইউসুফ তারিগামি। #
342/