নিহত মিনহাজ সদর উপজেলার ৯ নং আস্করপুর ইউনিয়নের ভিতরপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। সে খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র।
নিখোঁজ দুই ব্যক্তি হলেন- একই ইউনিয়নের খানপুর এলাকার লতিফুল ইসলামের ছেলে এমদাদুল (২৮) ও একই এলাকার সালমানের ছেলে সাগর (২০)।
মিনহাজের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেছেন, বুধবার রাত ১১টার দিকে পাঁচ শুঁটকি ব্যবসায়ী দাইনুর বিওপির ৩১৫ নাম্বার মেইন পিলারের সীমান্তের কাছে গেলে বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালায়। বিএসএফ দাবি করেছে, মিনহাজসহ অন্যরা মাদক পণ্য নিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরছিল। বিএসএফ গুলি চালালে মিনহাজ নিহত হয়। মিনহাজের মরদেহ ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর তেলিয়াপাড়া এলাকায় রয়েছে।
এ ছাড়া খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ৯নং আস্করপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া।
দাইনুর বিজিবি বিওপির নায়েক সুবেদার আক্তার হোসেন বলেছেন, এ বিষয়ে বিএসএফের কাছে আমরা চিঠি পাঠিয়েছি। বিএসএফ চিঠির জবাব দিয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ আনা হবে।
বিজিবির একজন সদস্য জানিয়েছেন, মরদেহ ভারতের গঙ্গারামপুর থানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি নয়াদিল্লিতে বৈঠকে সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। বৈঠক শেষে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে সীমান্তে প্রাণহানির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় দুই শীর্ষ নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।#
342/