‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
রবিবার

২৩ অক্টোবর ২০২২

৬:০০:১৫ PM
1316350

আদদ্বাবাহ বন্দরে ড্রোন হামলা: তেল লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের হুশিয়ারি!

ইয়েমেনের জাতীয় মুক্তি মোর্চ্চা সরকারের অনুগত সশস্ত্র বাহিনী গতকাল আদদ্বাবাহ বন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে সৌদি নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী জোটকে জ্বালানী তেল সম্পদ লুণ্ঠনের মারাত্মক পরিণতির ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি সম্ভাব্য জ্বালানি তেল চুরির বিরুদ্ধে এই হামলাকে হুঁশিয়ারি সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন। 

আগ্রাসী সৌদি জোটের সঙ্গে যুদ্ধ-বিরতি ভেঙ্গে যাওয়ার পর এটাই ওই জোটের বিরুদ্ধে ইয়েমেনিদের প্রথম হামলার ঘটনা। ছয়মাস ধরে যুদ্ধ-বিরতি চলার পর গত দোসরা অক্টোবর থেকে ওই যুদ্ধ-বিরতি আর নবায়ন করেনি আগ্রাসী পক্ষ যদিও যুদ্ধ-বিরতির অনেক শর্তই আগ্রাসী পক্ষ লঙ্ঘন করে আসছিল। ইয়েমেন সরকার যুদ্ধ-বিরতির শর্ত লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রায়ই হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল। গতকালের (২১ অক্টোবর) হামলা সেইসব হুঁশিয়ারিরই এক প্রাথমিক অংশ মাত্র।

ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী সেদেশের জাতীয় সম্পদ রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত । জানা গেছে ইয়েমেনের হাজরামউত প্রদেশের আদদ্বাবাহ বন্দরে একটি বিশাল তেল-ট্যাংকার বিশ লাখ ব্যারেল জ্বালানী তেল নিতে প্রবেশ করেছে।  বন্দরে প্রবেশের পরপরই ওই তেল-ট্যাংকার ড্রোন হামলার শিকার হয়।  হাজরামউত প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের একটি তেল ক্ষেত্র থেকে ওই তেল-ট্যাংকার অজ্ঞাত স্থানে তেল বয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল।

ইয়েমেন সরকারের অনুমতি ছাড়া দেশটির যে কোনো অঞ্চল বা স্থান থেকে তেল সরিয়ে নেয়া দেশটির সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।  

সৌদি সরকার ও আরব আমিরাত সরকার এ পর্যন্ত ইয়েমেনের বিপুল পরিমাণ জ্বালানী তেল চুরি বা লুণ্ঠন করেছে। আরব আমিরাত এক্ষেত্রে বেশি অগ্রগামী এবং আমিরাতি সরকার এক্ষেত্রে মুসলমানদের প্রথম কিবলার দখলদার ইসরাইলকেও টেনে এনেছে। 

ইয়েমেনে সবচেয়ে বেশি তেল উত্তোলন করা হয় হাজরামউত প্রদেশে। এ অঞ্চলের তেল লুণ্ঠন নিয়ে সৌদি-আমিরাতি-মার্কিন অনুচরদের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষও হয়েছে। কিছুকাল আগে ইয়েমেনের জাতীয় মুক্তি মোর্চ্চা সরকারের জ্বালানী মন্ত্রীর দেয়া হিসেব অনুযায়ী সৌদি জোট ইয়েমেনের প্রায় ১০০০ কোটি ডলার মূল্যের জ্বালানী তেল চুরি করেছে। গতকালের ড্রোন হামলার মাধ্যমে ইয়েমেনিরা বুঝিয়ে দিলো যে তারা এমন চুরি আর সহ্য করবে না। 

ইয়েমেনে বৈধ সরকার এটাও বুঝিয়ে দিয়েছে যে গত ছয় মাস ধরে সৌদি জোট যুদ্ধ-বিরতির সুযোগ নিয়ে তাদের সমরশক্তিকে পুনর্গঠন করে নিলেও ইয়েমেনি সেনারা যুদ্ধ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেনি। ইয়েমেনিদের এ হামলা দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় সৌদি-মার্কিন-জোট, ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তাদের সহযোগী বিদেশি কোম্পানিগুলোর জন্যও জ্বালানী সম্পদ লুণ্ঠনে সহযোগিতার বিরুদ্ধেও মহা-সতর্ক সংকেত।   #

342/