‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
মঙ্গলবার

৩ জানুয়ারী ২০২৩

৪:০৪:৫০ PM
1335712

অমর শহীদ সোলাইমানি ও আবু মাহদি মুহানদিসের অমরত্বের রহস্য

আজ (৩ জানুয়ারি) আধুনিক যুগে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধের কিংবদন্তীতুল্য বীর ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী প্রতিরোধ যুদ্ধের অনন্য সেনাপতি ( ইরানি কুদস ব্রিগেডের সাবেক প্রধান) শহীদ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি (র.) এবং তাঁর প্রিয় সহযোদ্ধা ও ইরাকি সহযোগী ইরাকের জনপ্রিয় গণবাহিনী হাশদ্ আশ শাবির কমান্ডার আবু মাহদি মুহানদিসের (র.) তৃতীয় শাহাদাত-বার্ষিকী।

২০২০ সালের তিন জানুয়ারির ভোর রাতের দিকে ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে তাদেরকে শহীদ করে সন্ত্রাসী মার্কিন সরকার ও তার সহযোগী চক্রগুলো। যুদ্ধের ময়দানে তাদেরকে হারাতে ব্যর্থ হয়ে কাপুরুষ শত্রুরা ড্রোন হামলা চালিয়ে ওই গুপ্ত হত্যার আশ্রয় নেয়। 

এই মহানায়কদের শহীদ করার ষড়যন্ত্রের প্রধান অপরাধী আসামীরা হল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার যুদ্ধমন্ত্রী মার্ক ইস্পার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পিউ, মার্কিন সন্ত্রাসী সেন্টকম বাহিনীর প্রধান কিনিথ ম্যাককিঞ্জি, সিআইএ'র ঘাতক নারী কর্মকর্তা গিনা চেরি ওয়াকার হাসপেল, ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কুখ্যাত শিশু-ঘাতক বেনিআমিন নেতানিয়াহু এবং ওই সন্ত্রাসী অভিযানে জড়িত সন্ত্রাসীরাসহ একদল বিশ্বাসঘাতক চক্র যারা মার্কিন সরকারের কাছে তথ্য পাচার করত! নিরপরাধ বীরদের হত্যায় জারিত মানবতার এই শত্রুরা ন্যায়বিচার এড়াতে সক্ষম হবে না।  

ক্ষমার অযোগ্য ওই মহাঅপরাধের শাস্তি যথাসময়ে নেমে আসবে সন্ত্রাসী চক্রের ওপর। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নেতৃবৃন্দ মাঠে ময়দানে জবাব দেয়া ছাড়াও আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার মাধ্যমে অপরাধীদের যথাযোগ্য শাস্তি দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথা বার বার ঘোষণা করে আসছেন। একই ধরনের প্রত্যয় ব্যক্ত করে আসছেন ইরাকের সংগ্রামী নেতৃবৃন্দ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা। 

ইরাক, ইরান, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, লেবানন ও ইয়েমেনের কোটি কোটি জনতাসহ সারা বিশ্বের মুক্তিকামী জনগণ শহীদ কাসেম সোলাইমানি ও আবু মাহদি মুহানদিসের শাহাদাতে শোক প্রকাশ করে এসেছেন। ভারতের মুম্বাইয়ের ৩৯ জন নারী নার্সও অশ্রুপাত করেছেন এই শহীদদের জন্য। কাসেম সোলাইমানির বীরত্বপূর্ণ সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে এই নারীরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিল এবং তারা রক্ষা পেয়েছিল যৌনদাসী হওয়ার কলঙ্ক ও সম্ভাব্য মৃত্যু হতে। 

কাসেম সোলাইমানির সময়োচিত বীরত্বপূর্ণ পদক্ষেপ দেখা গেছে কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও। ফলে সিরিয়া ও ইরাকের জনগণকে সন্ত্রাসের নাগপাশ  থেকে মুক্ত করা সহজ হয়েছিল। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ির ভাষায়  শহীদ সোলাইমানি প্রতিরোধের ফ্রন্টে নতুন করে প্রাণ সঞ্চারিত করেছেন। বৈষয়িক, আধ্যাত্মিক ও আত্মিক দিক থেকে প্রতিরোধ সংগ্রামকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে ইহুদিবাদী ইসরাইল ও আমেরিকাসহ অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদী দেশের প্রভাবের মোকাবেলায় এটাকে সুরক্ষিত, সুসজ্জিত ও প্রাণবন্ত করেছেন। আর এসব কারণেই তিনি অমর হয়ে থাকবেন মানবজাতির ইতিহাসে।#

342/