বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পিজিসিসির সদরদপ্তরে এই সংস্থার কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মার্কিন কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইরান’-এর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ওই বৈঠক থেকে আগাগোড়া একটি ইরানবিরোধী বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে ইরানকে ‘মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি’, ‘সন্ত্রাসবাদে সমর্থন’, ‘মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বে অস্ত্র ছড়িয়ে দেয়া’ এবং ‘পরমাণু অস্ত্রের উস্কানি’ দেয়ার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।
নাসের কানয়ানি এসব অভিযোগ কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করে এগুলোকে ‘চর্বিত চর্বণ’ ও ‘ক্লান্তিকর’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, মার্কিন সরকার দীর্ঘকাল ধরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ ও বিদ্বেষ উসকে দেয়ার যে চেষ্টা করছে তারই ধারাবাহিকতায় এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
ইরানের এই মুখপাত্র উল্টো মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার ‘ধ্বংসাত্মক’ ও ‘হস্তক্ষেপমূলক’ বহু পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, এসব পদক্ষেপের মাধ্যমেই বরং এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিপন্ন হয়েছে। নাসের কানয়ানি উদাহরণ হিসেবে আঞ্চলিক দেশগুলোর কাছে আমেরিকার কোটি কোটি ডলারের সমরাস্ত্র বিক্রি, তাকফিরি সন্ত্রাসবাদের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন, নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জাতির ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের নৃশংস দমন অভিযানের প্রতি সমর্থন এবং ইয়েমেনের ওপর ধ্বংসাত্মক সৌদি আগ্রাসনের প্রতি ওয়াশিংটনের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার কথা উল্লেখ করেন।#
342/