‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
বুধবার

২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

৬:২১:৫৯ PM
1348357

ইসরাইল ৮০ বছর পূর্তির আগেই ভেঙে যেতে পারে বলে গুঞ্জন

ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ আবারও অবৈধ রাষ্ট্রটির ভেঙে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

তার ভাষায়, 'ইসরাইলের ৭৫তম ও ৮০তম স্বাধীনতা বাষির্কীর মাঝের বছরগুলোতে আমরা ভাগ্যনির্ধারণী পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছি। বর্তমানে বেদনাদায়ক ও গভীর বিভক্তি দেখতে পাচ্ছি। কাজেই এ বিষয়ের প্রতি গভীর নজর না দিয়ে পারছি না।' তার দাবি, 'ইতিহাসে দুই বার ইহুদি সরকার গঠিত হলেও ৮০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়েছে।'

অবশ্য ইসরাইল যে ভেতর থেকেই ভেঙে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা এর আগেও ইহুদিবাদী নেতারা করেছেন। ইসরাইলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শিমন পেরেজ মৃত্যুর আগে বলেছেন, ইসরাইল এখন অভ্যন্তরীণভাবে গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে এবং এই সংকট ইসরাইলকে ভেতর থেকেই পতনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন, চেকোস্লোভাকিয়া ও ইউগোস্লাভিয়াও রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ভঙুর হয়ে পড়েছিল। কারণ ভেতর থেকেই তাদের পচন ধরেছিল।

দখলদার ইসরাইল যে বেশি দিন টিকবে না এমন কথা আরও অনেক ব্যক্তিত্বও বলেছেন। কারণ এমন অবৈধ অস্তিত্ব টিকে থাকতে পারে না, টিকে থাকতে দেওয়া যায় না। ইসরাইল ভেতর থেকেই ভেঙে পড়ছে, তবে এই ভেঙে পড়া আরও তরান্বিত হতো যদি মুসলিম দেশগুলো এই দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতো। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বেশিরভাগ মুসলিম সরকার এই খুন-খারাবি ও দখলদারিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। সম্প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী মুসলিম সরকারগুলোর ভূমিকায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, 

ফিলিস্তিন এখনো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। একটি জাতি ও একটি দেশ সম্পূর্ণরূপে অস্বাভাবিক লোকদের মাধ্যমে দখল হয়ে আছে। দখলকারীরা স্বাভাবিক কোনো মানুষ নয় তারা খুবই হিংস্র, অসভ্য ও দুষ্টু। মুসলিম সরকারগুলো কেবল তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে।  ফিলিস্তিন ইস্যুতে নীরব থাকার কারণে মুসলিম বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা তাদের নিজেদের তথা গোটা মুসলিম উম্মাহর ওপরই আক্রমণ। শুধু নীরবতাই নয় দুঃখজনকভাবে কোনো কোনো মুসলিম সরকার আগ্রাসীদেরকে সহযোগিতা করছে। এ কারণে এই মুসলিম দেশগুলোও দুর্বল হয়েছে এবং এ ধরণের আচরণ তাদের নিজেদের পরাধীনতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসলামের দিকে প্রত্যাবর্তন, মুসলিম জাতিগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি এবং মুসলিম সরকারগুলোর মধ্যে সত্যিকার অর্থে সহযোগিতার মধ্যেই সব সমস্যার সমাধান রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সর্বোচ্চ নেতার দেওয়া দিকনির্দেশনার মধ্যেই ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানও রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।#