‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
মঙ্গলবার

২১ মার্চ ২০২৩

৯:৩৬:৪০ AM
1353267

মস্কোতে শি-পুতিন বৈঠক: ইউক্রেন যুদ্ধসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময়

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুই দিনের রাশিয়া সফরের প্রথম দিনে ক্রেমলিনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসময় তারা একে অপরকে ‘প্রিয় বন্ধু’ সম্বোধন করে অভিবাদন জানান এবং ইউক্রেন যুদ্ধসহ দু’দেশের সম্পর্ক ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

গতকাল (সোমবার) বিকেলে এ সাক্ষাতের শুরুতে পুতিন চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে  শি   করমর্দন করেন। এসময় শিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘প্রিয় চেয়ারম্যান, প্রিয় বন্ধু, আপনাকে রাশিয়ায় স্বাগত। মস্কোয় স্বাগত।’  

বৈঠকে শি জিনপিং বলেন, গত ১০ বছর ধরে তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার উন্নয়নে নতুন অগ্রগতি অর্জিত হবে।

চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, 'রাশিয়ার বৃহত্তম প্রতিবেশী ও সার্বিক কৌশলগত সহযোগী ও অংশীদার হিসেবে চীন সবসময় স্বাধীন কূটনৈতিক নীতি মেনে চলে। চীনের নিজস্ব মৌলিক স্বার্থ ও বিশ্ব উন্নয়নের প্রবণতার ভিত্তিতে চীন-রাশিয়া সম্পর্ককে শক্তিশালী ও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দু’পক্ষের উচিত জাতিসংঘসহ বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতা ও সমন্বয় জোরদার এবং নিজ নিজ দেশের উন্নয়নের চেষ্টা করার পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার মূল ভিত্তি হওয়া।'

শি জিনপিং জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেন সমস্যায় বেশিরভাগ দেশ উত্তেজনা প্রশমন ও আলোচনার মাধ্যমে শান্তি বাস্তবায়নকে সমর্থন করে।

এসময় পুতিন জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে চীনের ১২ পয়েন্টের শান্তি প্রস্তাব পড়ে দেখেছেন তিনি।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও বলেন, 'গত ১০ বছরে চীন বিপুল ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এর কারণ চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দুর্দান্ত নেতৃত্ব এবং তা চীনের জাতীয় ব্যবস্থা ও পরিচালনা ব্যবস্থার প্রাধান্যকে সফল বলে প্রমাণ করেছে। দু’পক্ষের অভিন্ন চেষ্টায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু’দেশের সম্পর্কের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক ফলাফল অর্জিত হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'রাশিয়া চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাস্তব সহযোগিতা গভীরতর করতে ইচ্ছুক। আন্তর্জাতিক ইস্যুতে যোগাযোগ ও সমন্বয় জোরদার, একসঙ্গে বিশ্বের বহু-মেরুকরণ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতন্ত্রায়নকে ত্বরান্বিত করবে দুই পক্ষ।

দু’পক্ষ ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে গভীর মতবিনিময় করেছে।'

চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয়বারের মতো দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি সি চিন পিংয়ের প্রথম বিদেশ সফর। এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রতিশ্রুতি আসবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।#