ইরানের ইংরেজি নিউজ চ্যানেল প্রেসটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ কূটনীতিক পিটার ফোর্ড বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়াকে নিয়ে আরব বিশ্বে যে আমূল পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে তার গতিপ্রকৃতি সিরিয়াকে ছাড়িয়ে আর বহুদূর চলে যেতে পারে।
পিটার ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সিরিয়ায় এবং তার আগে ১৯৯৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বাহরাইনে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী বহুমেরুকেন্দ্রীক ব্যবস্থার যে ঢেউ শুরু হয়েছে তাতে এখন শুধু রাশিয়া, চীন বা ইরান মার্কিন আধিপত্যকে প্রত্যাখ্যান করছে না বরং এই দলে যোগ দিয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো মার্কিন প্রভাব বলয়ে থাকা দেশগুলিও।
পিটার ফোর্ড বলেন, মার্কিন হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও আরব লীগে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তন আরব জনগণের মধ্যে এই আশাবাদ জাগিয়ে তুলেছে যে, আরব বিশ্ব এখন ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করা বাদ দিয়ে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের প্রতি বেশি মনোনিবেশ করবে।
সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ফোর্ড আরো বলেন, “মার্কিন সরকারের ভয়ে এবং ইরানের সঙ্গে শত্রুতার কারণে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। কিন্তু এখন আর আরব বিশ্ব যেমন আমেরিকার দাম্ভিকতাকে ভয় পায় না তেমনি ইরানের সঙ্গেও তাদের শত্রুতা কমে এসেছে।”
সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনকে স্বাগত জানান সাবেক এই ব্রিটিশ কূটনীতিক। তিনি বলেন, তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে শত্রুতা থেকে শুধুমাত্র উপকৃত হতো আমেরিকা ও ইসরাইল।এখন তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ওয়াশিংটন ও তেল আবিব বাদে অন্য সবার স্বার্থ রক্ষা করবে।#
342/