সাবেক সোভিয়েত শাসনামলে বাখমুত শহরের নাম ছিল আরতোমোভস্ক। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রকাশিত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পুতিন রুশ সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, যারা বাখুমত দখলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে তাদের পদক প্রদান করা হবে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর বাখমুত দখলের সংঘর্ষকে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্ক ও দোনেস্ক অঞ্চলের রুশ-ভাষি নাগরিকদেরকে কিয়েভের দমনপীড়ন থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করার লক্ষ্যে বাখমুত দখল করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর বিবৃতির আগে শনিবার রাশিয়ার ওয়াগনার সামরিক গ্রুপ ঘোষণা করেছিল তারা বাখমুত শহরের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।
গ্রুপটির প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন শনিবার টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আজ ২০ মে দিনের মধ্যভাগে বাখমুত পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে।” তিনি আরো বলেন, দখলীকৃত শহরটি সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করার আগে তারা এটির সর্বত্র তল্লাশি চালাবেন। প্রতি ‘ঘরে ঘরে’ তল্লাশি চালানো হবে বলেও প্রিগোঝিন ঘোষণা করেন।
বাখমুতের পতনের দাবি সত্য হয়ে থাকলে বিগত ১০ মাসের মধ্যে এটি হবে রাশিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় বিজয়। ইউক্রেন অবশ্য বাখমুতের পতনের দাবি অস্বীকার করেছে। ইউক্রেনের উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গান্না মালইয়ার টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাখমুতে প্রচণ্ড সংঘর্ষ চলছে এবং সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। #
342/