আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা): ভারতের মুম্বাইয়ে
খোজা-মসজিদে ইমাম খোমেনী (রহ.) এর ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
ভারতের জামেয়া আমিরুল মুমিনীনের (নাজাফি হাউস) পরিচালক হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ আহমেদ আলী আবেদী, ইমাম খোমেনীর শিক্ষা ও সেবামূলক কার্যক্রমের প্রতি ইশারা করে বলেন: বিশ্বব্যাপি তাঁর এই সূউচ্চ মাকাম ও অবস্থান সহজে অর্জিত হয়নি, তাকে অসহনিয় কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে, ইবাদতে গভীর মনোনিবেশ করতে হয়েছে। তপস্যা, ইবাদত এবং কষ্ট সহ্য করেছেন। ইমামের নির্বাসন জীবন হচ্ছে তাঁর সেই সব চরম কষ্টের নমুনা মাত্র।
যারা মারজাদের সমালোচনা করেন, তাদের জানা উচিত যে, মারজায়াতের গুরুদায়ীত্ব পালনের জন্য তাদেরকে বছরের পর বছর চরম কষ্ট সহ্য করতে হয়।
তিনি বলেন: ইমাম খোমেনীর (রহ.) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাঁর সুউচ্চ ও গভীর জ্ঞানগত অবস্থান। তিনি নাজাফে ও কোমে যখন বক্তৃতা করতেন, তখন অনেক বিখ্যাত আলেম ও বড় বড় মনীষীরা তাঁর বক্তৃতা শুনতে উপস্থিত থাকতেন। যারা তাঁর বক্তৃতা লিখতেন, তারাও আজকের দিনে মারজায়ে-তাকলিদের গুরু দায়িত্ব পালন করছেন।
হুজ্জাতুল ইসলাম আহমেদ আলী আবেদী, ইমাম খোমেনির নাজাফে অবস্থানের বিষয় উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন: তিনি অত্যান্ত সাধারণ ভাবে হজরত আমীরুল মুমিনিন (আ.)-এর মাজারে যেতেন এবং অশ্রুসিক্ত চোখে জিয়ারতে আমিনুল্লাহ পড়তেন। আহলে বাইতের ব্যাপারে তিনি কখনোই গাফিল ছিলেন না, তিনি তার সমগ্র জীবন আহলে বাইত (আ.)-এর ভালোবাসায় উৎসর্গ করেছেন!#176