‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
রবিবার

১১ জুন ২০২৩

৬:৩৪:১৩ PM
1372346

সৌদিতে ভিন্নমত পোষণকারী সাংবাদিকদের বাক স্বাধীনতা বিপন্ন

সৌদি আরবে, স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে সম্পর্কিত সাংবাদিকদের কর্মতৎপরতা একটি নতুন ধারায় পরিণত হয়েছে যা সংবাদ ও তথ্যের জন্য একটি বিকল্প উৎস হিসাবে বিবেচিত।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): সৌদি আরবে ডিজিটাল গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধকরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার সংস্থার পরিচালক।

এই সংস্থার পরিচালক দুয়া দেহিনি, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করতে এবং অবাদ তথ্য-প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে সৌদি সরকারের দমনমূলক কলা-কৌশল এবং সাংবাদিকদের মত প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মত সমস্যাগুলির দিকে ইঙ্গিত করে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, সৌদি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে। কারণ সরকার বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে এবং নিজেদের ক্ষমতা-দখল বজায় রাখতে বিভিন্ন প্রকার দমন নিপিড়ন চালিয়ে থাকে।

ইউরোপীয় মানবাধিকার সংস্থার পরিচালক সৌদির অবস্থা ব্যাখ্যা করে বলেন যে, সেখানকার বেশিরভাগ ঐতিহ্যবাহী মিডিয়া সরকারের মালিকানাধীন। অন্য দিকে সরকারী নীতির প্রতিবাদকারী সাংবাদিক ও লেখকরা হয় নিষেধাজ্ঞার আওতায় নতুবা কারাগারে মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছেন। এই সব জুলুমের প্রতিবাদ জানানোর কারণে তারা একজন ফটো সাংবাদিককে হত্যা করেছে, আর জামাল খাশোগির নৃশংস হত্যা এই সব বিষয়ের সুস্পষ্ট প্রমাণ।

দুয়া দেহিনী বলেছেন: এই চ্যালেঞ্জিং পরিবেশের মুকাবেলায়, সেখানকার নাগরিকদের সাংবাদিকতা ও স্বাধীন মতপ্রকাশের মত বিষয়গুলো একটি শক্তিশালী  অবস্থায় আবির্ভূত হয়েছে। স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সাংবাদিকদের একটি স্বাধীন নতুন ধারা সৃষ্টি হয়েছে, যা সংবাদ এবং তথ্যের ক্ষেত্রে একটি বিকল্প উৎস। সাধারণ নাগরিকরা তাদের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ব্যবহার করছে- নির্বিচারে গ্রেপ্তার, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং সমাজের বিভিন্ন দল ও গোষ্টির বিরুদ্ধে অন্যায্য খেতাব প্রকাশের বিরুদ্ধে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জবাবদেহির অস্পষ্টতা এবং অস্বচ্ছতার মত বিষয়কেও চ্যালেঞ্জ করছে।

তিনি বলেন: সৌদি আরব সাংবাদিকদের বাক স্বাধীনতাকে কঠোর ভাবে দমন করছে এবং অনলাইনে প্রকাশিত খবরের বিষয়বস্তু সেন্সর করে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর দমন করেছে।

ইউরোপীয় অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটসের পরিচালক বলেন, প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ সৌদি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। একদিকে এটি নাগরিকদের তথ্য প্রকাশ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করেছে, অন্যদিকে সরকার তার নজরদারি ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যও প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, ফলে সহজে যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের ট্র্যাক ও টার্গেট করা সহজ হয়েছে। এই পরিস্থিতি সাংবাদিকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করছে।

দুয়া দেহিনি সৌদি সরকারের জবাবদিহিতার দাবি জানিয়ে বলেন এমন একটি ভবিষ্যতের জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে, যেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুরক্ষিত ও সুনিশ্চত হবে।#176