‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
শনিবার

১ জুলাই ২০২৩

৬:২৫:১৮ PM
1376359

সুইডেনে বাকস্বাধীনতার নামে কুরআন পোড়ানোর অনুমোদন

তথা কথিত বাক স্বাধীনতার অজুহাতে সুইডিশ সরকার পবিত্র কুরআন পোড়ানোর মত জঘন্য ও সহিংসতাকে উস্কে দেয় এমন কাজের অনুমোদন দিয়েছে!

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ঈদুল আযহার দিনে সুইডিশ সরকার সে দেশের ৩৭ বছর বয়সী এক নাগরিককে কুরআন পোড়ানোর মত জঘন্য কাজের অনুমতি দিয়ে, তার আক্রমণাত্মক সিদ্ধান্তের পক্ষাবলম্বন করেছে, যা মূলতঃ সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর নামান্তর।

প্রথম বারের মত সুইডিশ সরকার এমন জঘন্য কাজের অনুমতি দিয়েছে বিষয়টি এমন নয়। এর আগেও, ডেনমার্কের উগ্র ডানপন্থী বর্ণবাদী রাজনীতিবিদ রাসমুস পালুদানকে, তুর্কি দূতাবাসের সামনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল সুইডিশ পুলিশ।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সুইডেনে কোরান পোড়ানোর বিষয়কে একটি সুস্পষ্ট বিদ্বেষপূর্ণ অপরাধ হিসেবে তুলে ধরে বলেছে: মূলতঃ তাদের লক্ষ্য মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরোধিতা ও অবমাননা করা! এই ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ কাজের অনুমোদন প্রদান সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যাত এবং অগ্রহণযোগ্য।

ইউরোপে ইসলামভীতি ছড়ানোর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা এবং বর্ণবাদী বৈষম্যমূলক আচরণ যে উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে, এই সব ঘৃণ্য চক্রান্ত তারই উদাহরণ।

এছাড়াও, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এ প্রসঙ্গে বলেন: কিছু ইউরোপীয় দেশ, দুর্ভাগ্যবশত অতীতের মতো, মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে মিথ্যা অজুহাত তৈরী করে, ইসলামী পবিত্রতা ও মূল্যবোধের বিষয়গুলোকে উগ্র ও চরমপন্থীদের হাত ছেড়ে দিয়েছে। মুখে মানবাধিকারের সুন্দর স্লোগান দিলেও, এই ঘটনার মাধ্যমে তারা তাদের সমাজে ইসলামভীতি ও মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিচ্ছে।

কূটনৈতিক সংস্থার ঐ মুখপাত্র আরো বলেন, দেড়শ কোটি মুসলমানের পবিত্র গ্রন্থের অবমাননার পুনরাবৃত্তি, প্রকৃত অর্থে সমস্ত মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো ও সহিংসতাকে উস্কে দেওয়ার সুস্পষ্ট উদাহরণ হয়ে থাকবে। এই ধরনের অপকর্মের সাথে বাক-স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই!

কানানি গুরুত্বারোপ করে বলেন- মুসলিম বিশ্ব আশা করে যে, সুইডিশ সরকার এই ইসলাম বিরোধী ও বিদ্বেষী আচরণের পুনরাবৃত্তি রোধ করবে এবং মুসলমানদের পবিত্র ধর্মানুভূতিতে আঘাত করা অপরাধীদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবে।#176K