ইরান গতকাল (মঙ্গলবার) এসসিওর ২৩তম ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে এই সংস্থার পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভ করে। চীন, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরঘিজিস্তান, কাজাখস্তান ও তাজিকিস্তানকে নিয়ে এই প্রভাবশালী নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক সংস্থা গঠিত।
ইরানের সদস্যপদ লাভের পর ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, “ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এখন আমাদের সংস্থার সব ফরম্যাটের বৈঠকে পূর্ণ শক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করবে।আমি এ উপলক্ষে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।” দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এসসিও’তে অন্তর্ভুক্তির সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় ইরানের প্রশংসা করেন পুতিন।
সম্মেলনের উদ্বোধনি ভাষণে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, তিনি এসসিওর নয়া সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে ইরানকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদিও এসসিওর নয়া সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে ইরানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা বা এসসিও'র পূর্ণ সদস্যপদ পায় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। আয়তন এবং জনসংখ্যার দিক থেকে এটি হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক সংস্থা।
মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে শুরু হওয়া ২৩তম ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে ইরানের পূর্ণ সদস্যপদ আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
এখন থেকে ১৫ বছর আগে এসসিও’র সদস্যপদের জন্য আবেদন জানিয়েছিল ইরান। কিন্তু ২০২১ সালে এসে সংস্থাটি ইরানের আবেদন বিবেচনা করতে সম্মত হয়। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ইরানকে এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত করার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছিল।#
342/