তেহরানে ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত ৩৭তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি আজ এ কথা বলেন। তিনি বলেন ঐক্যের মানে এখন মাজহাব কিংবা ভৌগোলিক ঐক্য নয় বরং ঐক্য ও সংহতির অর্থ হলো মুসলিম উম্মাহর স্বার্থ রক্ষা করা।
তিনি বলেন শত্রুরা চায় যাতে মুসলিম উম্মাহর মাঝে ঐক্য ও সংহতি না থাকে। আজ যারাই সংহতি ও ঐক্যের পথে অগ্রসর হয় তারা ইসলামের কৌশলের দিকেই অগ্রসর হচ্ছে। আর যারা বিচ্ছিন্নতার পথে এগুচ্ছে তারা ইসলামের শত্রুদের পক্ষে কাজ করছে।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হলো ফিলিস্তিন এবং কুদস শরিফের মুক্তি। শত্রুর সঙ্গে মোকাবিলা করার উপায় আপোষ ও আত্মসমর্পণ নয়, বরং দাঁড়ানো ও প্রতিরোধ, যা সরকারকে পিছু হটতে বাধ্য করবে।
শত্রুদের মোকাবেলার উপায় আপোষ কিংবা আত্মসমর্পণ নয় বরং রুখে দাঁড়ানো এবং প্রতিরোধ করা। প্রতিরোধের মুখে দখলদার শক্তি পিছু হটতে বাধ্য হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রায়িসি বলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী ঐক্য সম্মেলন একটি ইহুদিবাদ বিরোধী এবং আধিপত্য বিরোধী আয়োজন। মুসলমানদের ঐক্য এবং সংহতি শত্রুর বিরুদ্ধে ইসলামী উম্মাহকে শক্তিশালী করতে পারে। শত্রুদের সর্বাত্মক যুদ্ধ মোকাবেলার উপায় হলো মুসলমানদের পারস্পরিক ঐক্য ও সংহতি।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে চলমান ঐক্য সম্মেলনের এবারের থিম হলো: অভিন্ন মূল্যবোধ অর্জনে ইসলামী সহযোগিতা। সরাসরি উপস্থিতিতে এবং ওয়েবিনারে এই সম্মেলন চলবে আগামি ৩ অক্টোবর পর্যন্ত।#
342/