পাকিস্তানের অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের অধীনে মামলায় আজ (সোমবার) বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন রাওয়ালপিন্ডিতে আদিয়ালা জেলের ভেতর শুনানি করেন। ওই দুই নেতা রায় বন্ধ করতে দণ্ডবিধির ২৬৫-ডি ধারার অধীনে আবেদন করার পর তাদেরকে অভিযুক্ত করা হলো। বিচারক শুনানিতে তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এদিনের শুনানি শুধু অভিযোগ গঠনের জন্য নির্ধারিত এবং তা চলবে।
অভিযোগ গঠনের পর প্রসিকিউশনের তথ্যপ্রমাণ রেকর্ড করা হবে এবং তারপর বিচারকাজ শুরু হবে। আজ অভিযুক্তদের জবানবন্দি রেকর্ড করে আদালত। মামলার সাক্ষীকে ২৭ অক্টোবর উপস্থিত হওয়ার নোটিশ দেয়া হয়েছে। তবে, ইমরান খান বা মাহমুদ কোরেশি কেউই দোষ স্বীকার করেননি।
এর আগে গত ১৭ই অক্টোবর শুনানি হয়। এতে পিটিআইয়ের এই দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য ২৩ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়।
গত আগস্ট মাসে এই দুই নেতার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯২৩-এর অধীনে মামলা হয়। ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এক জনসভায় কূটনৈতিক একটি বার্তা দেখিয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আমেরিকা দায়ী- এটাই তার প্রমাণ। এই মামলায় বিচার বিভাগীয় রিমান্ডে দুই নেতাই বর্তমানে আদিয়ালা জেলে বন্দী রয়েছেন।#
342/