গতকাল (সোমবার) হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের মহাসচিব জিয়াদ আন-নাখালের সঙ্গে আলাদা আলাদা ফোনালাপে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান তার দেশের এ সমর্থন ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরি পণ্য প্রবেশ করার জন্য অবিলম্বে ইসরাইলকে মিশর-গাজা সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং ব্যাপকভাবে উন্মুক্ত করে দিতে হবে। একইসঙ্গে গাজার অভ্যন্তরে হাজার হাজার মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তুচ্যুত করা থেকে তেল আবিবকে বিরত থাকতে হবে।
গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে স্বাভাবিক অবস্থায় গাজার রাফাহ ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ট্রাক জরুরি পণ্য নিয়ে এই অবরুদ্ধ উপত্যকায় প্রবেশ করত। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরাইলের ইশারায় মিশর ওই ক্রসিং বন্ধ করে দেয়। এর ফলে গত ১৭ দিনে প্রায় ৮,০০০ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পারেনি।
তিন দিন আগে সীমিত পরিসরে ক্রসিংটি খুলে দেয়ার পর ৭২ ঘণ্টায় মাত্র ৪৭টি পণ্যবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ বলেছে, গাজার ২৩ লাখ অধিবাসীরা জন্য প্রতিদিন অন্তত ১০০ ট্রাকবোঝাই পণ্য এই উপত্যকায় আনা জরুরি।
‘প্রতিরোধ ফ্রন্টের মনোবলে ফাটল ধরাতে পারবে না ইহুদিবাদীরা’
ফোনালাপে ইসমাইল হানিয়া ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, গত ১৭ দিন ধরে ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকার ওপর ব্যাপক বোমাবর্ষণ করা সত্ত্বেও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মনোবলে বিন্দুমাত্র চিড় ধরেনি এবং এই মনোবলে কখনোই শত্রুরা ফাটল সৃষ্টি করতে পারবে না। এ সময় তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ইরানের সমর্থনের ভূয়সী প্রশংসা করে একে ‘গতিশীল ইসলামি কূটনীতি’ বলে মন্তব্য করেন।হামাস নেতা বলেন, অবিলম্বে জ্বালানী ও ওষুধ সরবরাহ করা না হলে গাজার হাসপাতালগুলোতে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে।
ফোনালাপে জিহাদ নেতা জিয়াদ আন-নাখালে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা দৃঢ় মনোবল ধরে রেখে ইহুদিবাদী শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন ও সংহতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, ইরান এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।#
342/