আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা):
রাহবারের বিশেজ্ঞ পরিষদের সদস্য আয়াতুল্লাহ মোহসেন আরাকি, ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর হামলার তীব্র-নিন্দা জানিয়েছে বলেন: ফিলিস্থিনের আল-মামদানিয়া
হাসপাতালে চালানো বোমা-হামলায়, বিশ্ব-মুসলিমদের পাশাপাশি অমুসলিম জনসাধারণেরও ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। অচিরেই মহা-জনতার আক্রশের প্রবল শ্রোতে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্টি বালির-বাধের ন্যায় ধ্বসে পড়বে এবং তাদের স্থান হবে ইতিহাসের ডাস্টবিনে। কেউই এই বন্যা
প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে না।
তাঁর বক্তব্যের উল্লেখযোগ্য অংশ নিম্নরূপ:
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। و من قُتل مظلوماً فقد جعلنا لولیّه سلطاناً অর্থাৎ (যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে নিহত হয়, আমি তার উত্তরাধিকারীকে কিসাস গ্রহণের ক্ষমতা দান করি।)
ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক গাজার আল মামদানিয়া হাসপাতালে বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশুসহ নিরাপরাধ জনসাধারণ হত্যার ভয়াবহ বিপর্যয়ের খবর, বিশ্বের স্বাধীন চিত্তের মানুষদের হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করেছে।
ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী, বড়-শয়তান আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন নিয়ে হলোকাস্টের মত মিথ্যা-কল্পকাহিনীকে নবীদের দেশে বাস্তবায়ন করছে।
নিঃসন্দেহে, আল-আকসার মর্যাদাপূর্ণ অভিযানের পরে, শত্রুদের এই ধারাবাহিক অপরাধগুলি তাদের ত্রুটিপূর্ণ একাগ্রতার লক্ষণ হিসাবে প্রকাশ পাচ্ছে। মূলতঃ এ সবের মাধ্যমে, ইহুদিবাদী শাসকগোষ্টি তাদের আসন্ন পরিণতি অনুমান করছে।
ফিলিস্তিনের আল মামদানিয়া হাসপাতালে করা বোমা-হামলায় বিশ্ব-মুসলিমদের পাশাপাশি অমুসলিম জনসাধারণেরও ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। মহা-জনতার আক্রশের প্রবল শ্রোতের সামনে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্টি বালির-বাধের ন্যায় ধ্বসে পড়বে এবং তাদের স্থান হবে ইতিহাসের ডাস্টবিনে। কেউই এই বন্যা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে না।
আজ, মুসলিমদের প্রয়োজন ফিলিস্তিনি মজলুম জনগণের পাশে থাকা, তাদের সাহায্যের জন্য ছুটে আসা এবং নিপিড়িত মজলুমের আর্তনাদকে পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া। এবং এইসব অন্যায়-অবিচারের প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণ এবং প্রতিরোধ বাহিনীর অনুকূলে সম্ভাব্য সব উপায়ে মাঠ প্রস্তুত করা।
وَلَيَنْصُرَنَّ اللَّهُ مَنْ يَنْصُرُهُ
‘আর যে আল্লাহকে সাহায্য করবে, আল্লাহ তাকে অবশ্যই সাহায্য করবেন।’ (সূরা হজ্জ, আয়াত নং ৪০)#