‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
শুক্রবার

২৭ অক্টোবর ২০২৩

১২:৫৮:৩৭ AM
1405463

ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধ করার বৈধ অধিকার রয়েছে : বিশ্লেষক

এ পর্যন্ত ১৫০,০০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে যাদের ৩৩০০০ ছিল শিশু । আর এই ১৮ দিনে ( ৭ অক্টোবর থেকে আজ ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ) সর্বশেষ এ আগ্রাসনে গাযায় ৫৭৯১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): গাযায় শহীদদের সংখ্যা এখন ( ২৪-১০-২০২৩, ভোর ৫:০০টা ) : ৫৭৯১ জন যাদের মধ্যে ২৩৬০ জন শিশু এবং ১২৯২ জন নারী অর্থাৎ গাযার ১৮ দিন ব্যাপী ইসরাইলী নির্বিচারে বোমাবর্ষণে শহীদদের প্রায় ৬৫% শিশু ও নারী। ১৬০০০ এর অধিক আহত। গাযায় শহীদদের ও আহতদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছেই । কারণ ইসরাইল তার সর্বাত্মক বিমান হামলা ও বোমাবর্ষণ নিরবচ্ছিন্ন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাযায় বোমাবর্ষণ বন্ধ ও সিজফায়ারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে যে এখনও সিজফায়ারের সময় হয় নি এবং ইসরাইল আত্মরক্ষার অধিকার রাখে !!! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাযায় স্থল যুদ্ধ সংক্রান্ত পরিকল্পনা সহ মেরিনস এবং উচ্চ পদস্থ সামরিক অফিসার পাঠাচ্ছে ইসরাইলে যারা গাযায় স্থল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে ।

গাযায় ইসরাইলের নির্মম , নিষ্ঠুর ও নৃশংস নির্বিচারে বোমাবর্ষণে ব্যবহৃত বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রের ৮০% মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। অতএব, গাযায় এ গণহত্যায় ও প্রজন্ম হত্যায় ইসরাইলের সাথে পূর্ণ শরীক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গাযায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যাবতীয় অন্যায় , অপকর্ম ও যুদ্ধাপরাধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও অন্যায় , অপকর্ম ও যুদ্ধাপরাধ। তাই , ইসরাইলের মত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এক সমান যুদ্ধাপরাধী। অধিকার থেকে বঞ্চিত মযলূম ফিলিস্তিন ও ফিলিস্তিনী জাতির বিরুদ্ধে ইসরাইলের এ যুদ্ধ আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই যুদ্ধ । আর হামাস তথা গাযাবাসীদের এ যুদ্ধ হচ্ছে স্বাধীনতার যুদ্ধ , মুক্তিযুদ্ধ আত্মরক্ষার যুদ্ধ। হামাস ও অন্য সকল ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগ্রামীরা হচ্ছে মুজাহিদ মুক্তি যোদ্ধা । তাই তাদেরকে সন্ত্রাসী , দুষ্কৃতকারী ও সন্ত্রাসবাদী বলা যাবে না । কারণ তারা ১৯৪৮ সালে ব্রিটেন ও পাশ্চাত্যের পূর্ণ সমর্থনপুষ্ট বহিরাগত দখলদার হানাদার যায়নিস্ট ইহুদীগণ কর্তৃক তাদের মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে ছেন । তাই তাদের অস্ত্র হাতে তুলে সশস্ত্র যুদ্ধ করার  আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত ও বৈধ অধিকার ( হক ) রয়েছে কারণ ফিলিস্তীন যা আজ ইসরাইল নামে পরিচিত তার আসল মালিক এই ফিলিস্তীনী জাতি ( গাযা, জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের অধিবাসীরা এবং জর্দান, সিরিয়া , লেবানন , মিসর এবং অন্যান্য দেশে আশ্রয় গ্রহণকারী ফিলিস্তীনী শরণার্থীরা )। এ সব যায়নবাদী ইহুদী ইসরাইলীরা সবাই বহিরাগত এদের কেউ এ দেশের প্রকৃত আসল অধিবাসী নয় এরা সবাই জবরদখলকারী দখলদার হানাদার যালেম ( অত্যাচারী )। এরা এ পর্যন্ত ১৫০,০০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে যাদের  ৩৩০০০ ছিল শিশু । আর এই ১৮ দিনে ( ৭ অক্টোবর থেকে আজ ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ) সর্বশেষ এ আগ্রাসনে গাযায় ৫৭৯১ জন  ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। হামাস শুধু নয় প্রত্যেক গাযাবাসী ও ফিলিস্তিনি মুক্তি যোদ্ধা । দখলদার হানাদার জবরদখলকারী ইসরাইলের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ তাদের সবার বৈধ সর্বজন ও আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত অধিকার। তারা যে কোনো সময় তাঁদের মাতৃভূমি উদ্ধারের জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করতে পারে। আর এ কারণেই ৭ অক্টোবর ২০২৩ , হামাস ও সকল ফিলিস্তীনী সংগ্রামী দল ও সংগঠন ইসরাইলের বিরুদ্ধে তূফানুল আকসা অভিযান শুরু করেছে। আর এর জবাবে দখলদার হানাদার যালেম অত্যাচারী জবরদখলকারী ইসরাইল গাযায় নৃশংস লোমহর্ষক ভয়ঙ্কর নির্মম গণহত্যা ও প্রজন্ম হত্যায় লিপ্ত রয়েছে। ময়দানে বীর ফিলিস্তিনি মুজাহিদ মুক্তি যোদ্ধাদের মুখোমুখি যুদ্ধে অবতীর্ণ না হয়ে বিমান শক্তির প্রাধান্য নিয়ে গাযায় নির্বিচারে নৃশংস, নির্মম , নিষ্ঠুর ও নির্দয় ভাবে এলোপাথাড়ি লক্ষ্য বিহীন বোমাবর্ষণ করে অসহায় বেসামরিক অধিবাসী , নারী ও শিশু হত্যা ( গণহত্যা ও প্রজন্ম ) করে চলছে যা রক্ত পিপাসু হিটলার , মুসোলিনি , চেঙ্গিস হালাকু মোঙ্গলদেরকেও হার মানায় । এগুলো সব শাস্তিযোগ্য যুদ্ধাপরাধ যাতে ইসরাইল , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো শরীক । আর ইসরাইলে বেসামরিক নিরীহ ইসরাইলী জনগণ নেই। ইসরাইলী ইহুদী জনগণ  বহিরাগত  দখলদার, হানাদার ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড জবরদখল কারী । তারা সবাই অবৈধ বাসিন্দা । আর এ সব তথাকথিত বেসামরিক ইহুদী ইসরাইলী বসতি স্থাপনকারী সবাই সশস্ত্র এবং সামরিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত । তাই ইসরাইলে সবাই সামরিক এবং বেসামরিক জনগণও সামরিক। এই সব সশস্ত্র তথাকথিত বেসামরিক জনগণ কত ফিলিস্তিনিকে অন্যায় ভাবে হত্যা করেছে এবং ইসরাইলী পুলিশ, নিরাপত্তা ও সামরিক বাহিনীর ছত্রছায়ায় । এখনও তারা নিরীহ নিরপরাধ অধিকার বঞ্চিত ফিলিস্তিনীদের মারধর এমনকি হত্যা করে। তাই সকল ইসরাইলীই জালেম , অপরাধী , যুদ্ধাপরাধী , দখলদার , হানাদার  জবরদখলকারী । তাই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালান ও যুদ্ধ করার অধিকার হামাস সহ সকল ফিলিস্তিনির আছে । অতএব কোনো ভাবেই হামাস ও ফিলিস্তিনীদের আগ্রাসনকারী ও সন্ত্রাসী বলা যাবে না বরং ইসরাইল এবং তার সমর্থক পৃষ্ঠপোষক ও সাহায্য কারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোই মূলতঃ সন্ত্রাসী ।

মযলূমকে জালেম এবং জালেমকে মযলূম দেখান

োর অপচেষ্টা করছে ইসরাইল ও পশ্চিমারা বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অতএব আমাদের সবার সাবধান হতে হবে । আমাদের কে মযলূম গাযাবাসীদের সর্বাত্মক কার্যকর সাহায্য করতে হবে এবং যালেম ইসরাইল ও তার পৃষ্ঠপোষকদের মোকাবেলা করতে হবে।

    আর যেহেতু ব্রিটেন, ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ  মদদ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে বহিরাগত যায়নবাদী ইহুদীরা মুসলিম ভূখণ্ড ফিলিস্তীন আক্রমণ ও জবরদখল করে এবং ফিলিস্তীনী জনগণ যাদের অধিকাংশই মুসলিম তাদের হত্যা করে ও মেরে কেটে তাদের আবাসস্থল ও মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত করেছে সেহেতু ইসরাইল এবং তার পৃষ্ঠপোষকরা সবাই হারবী কাফির যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অধিকার হামাস সহ সকল মুসলিম উম্মাহর রয়েছে।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান