‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
শুক্রবার

৩ নভেম্বর ২০২৩

১২:২৯:৫৫ PM
1408051

গাজা মানুষের বিবেকে নাড়া দিয়েছে / ইসলামি বিশ্বকে ইহুদিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হতে হবে : সর্বোচ্চ নেতা

হজরত আয়াতুল্লাহ খামেনায়ী তুফানুল আকসার মহান শিক্ষাকে স্বল্প সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন কিন্তু বিশ্বাসী ও সংকল্পে দৃঢ় একটি ক্ষুদ্র দলের, সবরকম সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত একটি বড় দলের উপর বিজয় বলে অভিহিত করে বলেন, এই ইমান-দৃপ্ত দলটি শত্রুর দীর্ঘদিনের অপরাধমূলক প্রচেষ্টার ফসলকে ধোঁয়ার মত বাতাসে মিশিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইসলামি বিপ্লবের মহান নেতা আজ (বুধবার) সকালে অজস্র ছাত্র-ছাত্রীদের সমাগমে, ইরানি জাতির সাথে আমেরিকার দীর্ঘদিনের শত্রুতার শিকড় ধরে, গাজায় ইহুদিবাদী সরকার ও আমেরিকানদের সৃষ্ট বিপর্যয়কে ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে অভিহিত করেন এবং ভুয়া দখলদার শাসক ও তার অত্যাচারী সমর্থকদের সম্মান ও মর্যাদার উপর গাজার জনগণের ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার অপমানজনক আঘাতের প্রতি ইশারা করে বলেন, যদি আমেরিকার সার্বিক সহযোগিতা না থাকে, তাহলে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ইহুদিবাদী সরকার পঙ্গু হয়ে যাবে।

ইসলামি বিশ্বের উচিত ইহুদিবাদী সরকারের সাথে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ছিন্নের মাধ্যমে এই সরকারের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হওয়া এবং বজ্রকন্ঠে "গাজায় বোমা হামলা ও অপরাধ অবিলম্বে বন্ধের" দাবি জানানো এবং সত্যের বিরুদ্ধে মিথ্যার এই যুদ্ধে নিজের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা।

মার্কিন সাহায্যের উপর ইহুদিবাদীদের নির্ভরতার কথা উল্লেখ করে হজরত আয়াতুল্লাহ খামেনায়ী আরও বলেন, যদি আমেরিকার সমর্থন এবং অস্ত্রের সহযোগিতা না থাকত, তাহলে প্রথম সপ্তাহেই অন্যায়কারী, ভুয়া ও মিথ্যাবাদী ইহুদিবাদী এই সরকার ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব, গাজায় ইহুদিবাদীদের সৃষ্ট আজকের বিপর্যয় প্রকৃতপক্ষে আমেরিকানদের মাধ্যমে ঘটেছে।

সর্বোচ্চ নেতা তিন সপ্তাহের মধ্যে চার হাজার শিশু হত্যাকে একটি নজিরবিহীন অপরাধ বলে উল্লেখ করেন এবং গাজায় চলমান যুদ্ধকে প্রকৃতপক্ষে ‍“হক ও বাতিল” এবং ‍“ইমান ও অত্যাচারী” -র যুদ্ধ হিসেবে আখ্যা দেন এবং এ থেকে মুসলিম উম্মাহকে সতর্ক হবার প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, অত্যাচারীর শক্তিশালী বোমা, সৈন্য, বিপর্যয় এবং অপরাধযজ্ঞ সত্ত্বেও ইমানের শক্তি আল্লাহর রহমতে এসবের উপরে বিজয় অর্জন করবে।

তিনি গাজার মানুষের ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার উপর অটল থাকার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনের গাজার মানুষের উপর আপতিত বিপদ আমাদের হৃদয়গুলি রক্তাক্ত হয়েছে, কিন্তু গভীর দৃষ্টিতে লক্ষ্য করলে সুস্পষ্ট যে, এই যুদ্ধক্ষেত্রের বিজয়ী হচ্ছে ফিলিস্তিন ও গাজার অধিবাসীরা। যারা কতিপয় মহান কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম হয়েছে।

হজরত আয়াতুল্লাহ খামেনায়ী মনে করেন, গাজার জনগণ ধৈর্যধারণ এবং আত্মসমর্পণ না করার মাধ্যমে পশ্চিমাদের চেহারা থেকে মানবাধিকারের মিথ্যা মুখোশ খুলে দিয়েছে এবং তাদেরকে লাঞ্ছিত করেছে। তিনি বলেন, গাজার জনগণ তাদের ধৈর্য দ্বারা মানব বিবেকে নাড়া দিয়েছে। দেখতে পাচ্ছেন, এমনকি আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলির রাস্তায়ও বিশাল জনতা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এবং অনেক ক্ষেত্রে আমেরিকার বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে।

সর্বোচ্চ নেতা কিছু পশ্চিমা মিডিয়ার বিশ্লেষণকে, যেমন ব্রিটেনে ফিলিস্তিনের সমর্থনে জনসমাবেশের আয়োজন ইরান করেছে বলে যে দাবী পশ্চিমা মিডিয়াগুলো তুলেছে তা তাদের দুরারোগ্য অপমানের ব্যাধি বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং তাদের এরূপ হাস্যকর বিশ্লেষণকে কটাক্ষ করে বলেন, অবশ্যই এই জনসমাবেশগুলি  লন্ডন ও প্যারিসের সংঘসমূহের কাজ!

তিনি বিশ্ব মিথ্যাচারীদের লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধী যোদ্ধাদেরকে সন্ত্রাসী বলা পশ্চিমা রাজনীতিবিদ ও মিডিয়ার নির্লজ্জ কাজগুলোর একটি। তিনি এই প্রশ্ন উত্থাপন করেন: নিজের বাড়ি ও দেশ রক্ষা করা কি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ফরাসিরা প্যারিসে জার্মানদের সাথে যুদ্ধ করেছিল, তারাও কি সন্ত্রাসী ছিল? তারা কিভাবে ফ্রান্সের যোদ্ধা এবং গৌরবের উৎস, আর ইসলামি জিহাদ ও হামাসের যুবকরা সন্ত্রাসী?!

হজরত আয়াতুল্লাহ খামেনায়ী তুফানুল আকসার মহান শিক্ষাকে স্বল্প সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন কিন্তু বিশ্বাসী ও সংকল্পে দৃঢ় একটি ক্ষুদ্র দলের, সবরকম সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত একটি বড় দলের উপর বিজয় বলে অভিহিত করে বলেন, এই ইমান-দৃপ্ত দলটি শত্রুর দীর্ঘদিনের অপরাধমূলক প্রচেষ্টার ফসলকে ধোঁয়ার মত বাতাসে মিশিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।

সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, ফিলিস্তিনিরা নিজেদের অভিযান, সাহসিকতা এবং আজকের ধৈর্য ধারণের মাধ্যমে দখলদার ইসরায়েলের ন্যায় তার পৃষ্ঠপোষক অত্যাচারী দেশসমূহকে অপমান করেছে।

তিনি দখলদার সরকারের অপরাধযজ্ঞের মোকাবেলায় ইসলামি বিশ্বের নিকট দ্বিগুণ প্রত্যাশার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ইসলামি রাষ্ট্রগুলো যদি এখন ফিলিস্তিনকে সাহায্য না করে, তাহলে তা ফিলিস্তিনের দুশমনকে তথা ইসলাম ও মানবতার দুশমনকে আরও বেশি শক্তিশালী করবে এবং আগামীতে তাদের জন্য একই সংকট সৃষ্টি করবে।

ইসলামি বিশ্বকে সংঘবদ্ধ হবার প্রয়োজনীয়তার প্রতি গুরুত্বারোপ করে হজরত আয়াতুল্লাহ খামেনায়ী বলেন,  ইসলামি দেশগুলিকে অবিলম্বে গাজায় অপরাধ যজ্ঞ ও বোমা হামলা বন্ধের জন্য জোরালো আওয়াজ তুলতে হবে এবং তিনি এই দেশগুলির নিকট ইহুদিবাদী সরকারকে জ্বালানি তেল ও নিত্য পণ্য রপ্তানি বন্ধ করতে, তাদের সাথে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বন্ধ করতে এবং বিশ্বের সকল ফোরামে উচ্চস্বরে সুস্পষ্ট এই অপরাধ যজ্ঞের নিন্দা জানাতে আহবান জানান।

ইহুদিবাদী সরকারের অপূরণীয় ক্ষতি এবং এই অপূরণীয় ক্ষতির বিষয়ে দখলদার সরকারের প্রতিনিধিদের স্বীকারোক্তির প্রতি জোর দিয়ে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, দখলদার সরকার এতটাই অসহায় ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় যে, তারা নিজেদের জনগণের নিকটও মিথ্যাচার করছে, যেমন: নিজেদের বন্দীদের সম্পর্কে মিথ্যা উদ্বেগ প্রকাশ করা, কারণ তাদের বোমা হামলার ফলে তাদের নিজেদের বন্দিদেরও হতাহত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

হজরত আয়াতুল্লাহ খামেনায়ী ইসলামি বিশ্বকে এই বাস্তবতার প্রতি লক্ষ্য রাখার আহবান জানিয়েছেন যে, যারা ইসলাম ও নিপীড়িত ফিলিস্তিনের বিপরীতে শুধু ইহুদিবাদী সরকার নয় বরং আমেরিকা, ফ্রান্স ও ব্রিটেনও দাঁড়িয়ে রয়েছে। যে কোন সমীকরণ, লেনদেন এবং বিশ্লেষণে মুসলমানদের এই সত্যটি ভুলে যাওয়া অনুচিত।

তিনি কুরআনে কারীমের আয়াত “নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং যে ব্যক্তি এর প্রতি বিশ্বাস রাখে না, সে যেন তার নেতিবাচক চিন্তা দ্বারা তোমাদেরকে দুর্বল না করতে পারে।” -এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ইন শা আল্লাহ শীঘ্রই ফিলিস্তিন ও তার জনগণের বিজয় হবে।

হজরত আয়াতুল্লাহ খামেনায়ী তার বক্তব্যের অপর অংশে ৪ নভেম্বরের বিভিন্ন ঘটনার প্রতি ইশারা করে বলেন, মার্কিনীরা দু’টি ঘটনায় ইরানি জাতিকে আঘাত করেছে; ১৯৬৪ সালের ৪ নভেম্বর ক্যাপিটালিজমের স্থূল আইন অর্থাৎ ‘ইরানে কোন অপরাধের বিচারকার্যে আমেরিকানরা বিচারের আওতাধীন না থাকা’র  বিরুদ্ধে ইমাম খোমেনি (রহ.) গর্জন তুললে, তাকে নির্বাসিত করে এবং ১৯৭৮ সালের ৪ নভেম্বর ইরানে আমেরিকার ছায়া শাসক তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কতিপয় শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

তিনি বলেন, কিন্তু তৃতীয় ঘটনায়, অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের হাতে আমেরিকান দূতাবাস দখলের মাধ্যমে ইরানি জাতি আমেরিকাকে আঘাত করে এবং দূতাবাসের গোপন নথিপত্র প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্বে আমেরিকার সম্মান নষ্ট করে।

সর্বোচ্চ নেতা তরুণ প্রজন্মকে আবেগে সন্তুষ্ট না হয়ে বরং বিভিন্ন বিষয় জানা এবং বিশ্লেষণ করার প্রতি চেষ্টা করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, অবশ্যই মহান বিপ্লব, প্রতিরোধ যুদ্ধ, ষাটের দশকের অন্যান্য বিষয়, সত্তরের দশকের বিমুখতা এবং আশি ও নব্বইয়ের দশকের বিভিন্ন ঘটনাবলী সম্পর্কে সঠিক বিশ্লেষণ ও নিরীক্ষণ রাখতে হবে।

অতঃপর হজরত আয়াতুল্লাহ খামেনায়ী ইরানের সাথে আমেরিকার শত্রুতার রহস্য উদঘাটন এবং শত্রুতার কারণগুলির প্রামাণ্য বিশ্লেষণ করেন।

তিনি বলেন: আমেরিকানরা এবং যারা সরলতা বশতঃ বা অন্য যে কোন উদ্দেশ্যে তাদের কথা পুনরাবৃত্তি করে, বলে থাকে “আমেরিকার শত্রুতা ও ষড়যন্ত্র এদেশে তাদের দূতাবাস দখলের পর থেকে  শুরু হয়েছে”। এটি পরিপূর্ণ মিথ্যা কথা; কেননা ঐতিহাসিক বাস্তবতা দেখায় যে ইরানের সাথে আমেরিকার শত্রুতা দেশটির দূতাবাস দখলের ২৬ বছর আগে থেকে অর্থাৎ ১৯৫৩ সালের ১৯ শে আগস্ট ড. মোসাদ্দেকের সরকারে বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সূচনা হয়।

সর্বোচ্চ নেতা মার্কিন দূতাবাসের নথির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, এই নথির ভিত্তিতে আমেরিকার দূতাবাস ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের সূচনার দিকে অর্থাৎ দূতাবাস দখলের ১০ মাস পূর্বে, ষড়যন্ত্র, গুপ্তচরবৃত্তি, অভ্যুত্থান ও গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা এবং বিপ্লব বিরোধী মিডিয়ার ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র ছিল। অতএব ইরানি জাতীর সাথে আমেরিকার শত্রুতার ভিন্ন কারণ রয়েছে।

এই শত্রুতার দালিলিক রহস্য উদঘাটন করতে তিনি কাজার আমলে ব্রিটিশদের প্রভাবের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ব্রিটিশরা ভারতীয় ঔপনিবেশিক পদ্ধতিতে ইরানের অর্থনৈতিক উৎস এবং সম্পদের উপর আধিপত্য করতে চেয়েছিল, অতঃপর তারা রাজনৈতিক অঙ্গন এবং শাসন ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল।

সর্বোচ্চ নেতা ‍“তামাক চাষ, ক্রয়-বিক্রয়ের একচেটিয়া চুক্তি” এবং ‍“উসুকুদ্দৌলা চুক্তি”-কে ইরানের অর্থনৈতিক উৎসের উপর ইংরেজদের আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টার দু’টি উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেন এবং বলেন, এই দুটি পদক্ষেপ আলেমগণের সতর্কতা এবং জনগণের সহযোগিতার কারণে সফল হয়নি এবং ইংরেজরা রেজা খান নামক অত্যন্ত নিষ্ঠুর, অভদ্র, অশিক্ষিত, বদমেজাজি এবং বেদ্বীনকে ক্ষমতায় বসিয়ে ইরানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। আর রেজা খান আলেমদেরকে দমন ও জনগণকে আতঙ্কিত করার মাধ্যমে তাদের লক্ষ্য অর্জন করে। এই অপরাধে কতিপয় পশ্চিমা বুদ্ধিজীবী বা তার নোংরা শাসনের আশেপাশে থাকা তেলবাজরাও, তার এই অপরাধে শরিক হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রেজা খানের ছেলেকে স্থলাভিষিক্ত করার ব্রিটিশ ষড়যন্ত্র এবং তারপর চল্লিশের দশকের মাঝামাঝি ব্রিটিশ ক্ষমতার পতন এবং ধীরে ধীরে সেখানে আমেরিকার প্রতিস্থাপনের প্রতি ইঙ্গিত করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমেরিকানরা প্রথমে ঔপনিবেশিকতার দাবি এড়িয়ে নিজের ভদ্রতার চেহারা দেখায়, কিন্তু মোসাদ্দেকের ইরানকে স্বনির্ভর করার প্রচেষ্টা দেখে তারা ভদ্রতার মুখোশ খুলে ফেলে এবং ১৯শে আগস্টের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারা কার্যত দেশের ভাগ্যকে নিজের হাতে তুলে নেয় এবং ইরানকে তাদের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল করে তোলে।

হজরত আয়াতুল্লাহ খামেনায়ী ইরানে আমেরিকান আধিপত্যের অশুভ প্রভাব বিশেষ করে দেশটিতে ইহুদিবাদী শাসকের ঘাটি উন্মোচন, ভয়ঙ্কর সাভাক বাহিনী গঠন, সমগ্র সামরিক বিষয়ে আধিপত্য বিস্তারের জন্য ইরানের অর্থে কয়েক হাজার উপদেষ্টা প্রেরণ, তরুণ প্রজন্মকে ব্যক্তিত্বহীন করার জন্য পরিকল্পিত দুর্নীতির বিস্তার ঘটানো এবং ইরানকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে পিছিয়ে রাখা ও ভয়াবহ শ্রেণী বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমেরিকানরা এমনকি বিপ্লবের উত্তেজনাকর দিনগুলোতে তারা "জেনারেল হাইজার"-কে প্রেরণের মাধ্যমে একটি অভ্যুত্থান এবং এই জাতিকে গণহত্যা করার পরিকল্পনা করে, কিন্তু ইমামের দৃঢ় সংকল্প এবং জাতির অনড় অবস্থান এই ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দেয় এবং আমেরিকান জেনারেল ইরানী জাতিকে গণহত্যা করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়, কিন্তু আমেরিকানরা আজ তাদের সেই লক্ষ্যকে গাজায় বাস্তবায়ন করছে।

সর্বোচ্চ নেতা তার বক্তব্যের এই অংশের উপসংহারে জোর দিয়ে বলেন, আমেরিকা ধ্বংস হোক এটি শুধু শ্লোগান নয় বরং এটি এমন একটি নীতি যা গত ৭ দশকে ইরানি জাতির সাথে আমেরিকার ষড়যন্ত্র এবং সীমাহীন শত্রুতা থেকে উদ্ভূত হয়েছে।

এই সাক্ষাৎ সমাবেশের শুরুতে তিনজন শিক্ষার্থী, দেশের ছাত্র সমাবেশের প্রতিনিধিত্ব করে মিসেস মবিনা শেকারলাব, ইরানে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনি ছাত্র জনাব এবাদা এজ্জাত আমিন এবং ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি বোরহান দালিলিফার অভ্যন্তরী বিভিন্ন ইস্যু এবং গাজা প্রসঙ্গে আলোচনা করেন।#176A