‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
মঙ্গলবার

১৪ নভেম্বর ২০২৩

১২:২১:৪৮ AM
1411317

ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রবল শক্তিধর শত্রুর উপর আঘাত হানর সক্ষমতা দেখিয়েছে হামাস

পবিত্র প্রতিরক্ষার সাহিত্য ও ইতিহাস বিষয়ক সংগঠনের প্রধান, নিজ দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন- ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ-সংগঠন হামাস শত্রুর সমস্ত সমীকরণ পাল্টে দেওয়ার সক্ষমতা দেখিয়েছে এবং তাদের দম্ভ-অহংকার মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।

আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা): গত ৯ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত গিলান সংস্কৃতি বিভাগের নেতা মুদাফে-এ হারামের শহীদ সাইয়েদ ইসমাইল সিরাত নিয়ার শাহাদাতের  অষ্টম বার্ষিকীতে জেনারেল আব্বাস বায়রামি বলেন: শহীদদের সফলতার গোপন-রহস্য হচ্ছে- ইমান, আন্তরিকতা এবং নেতৃত্বের প্রতি আনুগত থাকা।

সাহিত্য ও ইতিহাস বিভাগের প্রধান আরো বলেন: শহীদরা আমাদের যুব প্রজন্মের প্রকৃত রোল মডেল। শহীদদের সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজন ঐশ্বরিক তওফিক লাভ।

তিনি আরো বলেন: শত্রুরা সর্বদাই তাদের সম্মিলিত মিডিয়ার বহুমূখি যুদ্ধের মাধ্যমে সব ধরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, যাতে সমাজে হতাশা সৃষ্টি করা যায় এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রবৃদ্ধি ও অগ্রগতির পথ রোধ করা যায়! কিন্তু শহীদদের স্মৃতি-চারণ, ঈমান, জিহাদ, আত্ম-বিশ্বাস ও আত্ন-ত্যাগের মত চেতনা ও মূল্যবোধ সমাজকে শক্তিশালী করে এবং এসবের মধ্যদিয়ে তরুণরা ভবিষ্যতের বিষয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠে।

নেতৃত্বের প্রতি শহীদদের আনুগত থাকার বিষয়ে ইঙ্গিত করে জেনারেল বায়রামী বলেন: দেশের পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধ ও হযরত যায়নাব (সা. আ.) এর মাজার রক্ষায়  শহীদরা শত্রুদের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন যাতে এই দেশ, জাতি ও রাষ্ট্র-ব্যবস্থা নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ থাকে।

পবিত্র প্রতিরক্ষা বিভাগের সাহিত্য ও ইতিহাস বিষয়ক সংগঠনের প্রধান, সাম্রাজ্যবাদীদের ইসলামী বিপ্লবের প্রধান শত্রু বলে গণ্য করে বলেন: আজ বিরোধী গণমাধ্যমগুলো মিথ্যা-প্রচারণার মাধ্যমে ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে ক্ষতি করতে চাইছে। তাই শহীদ সিরাত নিয়ার মত আসুন সাংস্কৃতিক যোদ্ধা হই এবং প্রকৃত বিশ্লেষণকে বিশ্ব-বাসির সামনে তুলে ধরি।

তুফানুল আাকসা অভিযানে হামাসের কৃতিত্ব প্রদর্শনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন: ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ-সংগঠন হামাস শত্রুর সমস্ত সমীকরণ পাল্টে দেওয়ার সক্ষমতা দেখিয়েছে এবং তাদের দম্ভ-অহংকার মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।

যদিও আমরা এই অসম যুদ্ধে ফিলিস্তিনি জাতির উপর নিপীড়ন প্রত্যক্ষ করছি, তবে শিশু-হত্যাকারী ইহুদিবাদী শাসকগোষ্টি নিশ্চিতভাবে ধ্বংস হবে এবং শীঘ্রই আমরা ফিলিস্তিন ও গাজাসহ এই অঞ্চলে প্রতিরোধ ফ্রন্টের মহান বিজয়ের সাক্ষী হব।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র তার পানি ও মাটির মূল্যবান সম্পদ থেকে শত্রুদের বঞ্চিত করেছে, তাই তারা সবসময় আমাদেরকে উৎখাত করতে চায়। শহীদরা আমাদের দেশকে মর্যাদা ও কর্তৃত্বের আসনে বসিয়েছেন, তাই আজ আমাদের কর্তব্য হচ্ছে শহীদদের পথ, চরিত্র এবং আত্মত্যাগের উদাহরণ অনুসরণ করা।

শহীদরা আমাদের পথের আলো। শহীদদের স্মৃতিকথা তুলে ধরা ছাড়াও আমাদের উচিত তাদেরকে আমাদের আদর্শ হিসাবে গ্রহন করা।#176K