‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
বৃহস্পতিবার

১৬ নভেম্বর ২০২৩

১:৩২:২৪ PM
1412173

ওআইসি'র কেবল বিবৃতি! এটা কি দেড় শ' কোটি মুসলমানের শক্তি?

ইয়েমেনের আনসারুল্লাহর নেতা আব্দুল মালেক আল-হুথি, গাজার বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে ৫৭টি আরব ও মুসলিম রাষ্ট্রের নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন।

তিনি তার বক্তব্যের শুরুতে সম্প্রতি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির শীর্ষ সম্মেলনে গাজা ইস্যুতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং কেবল বিবৃতি প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকায় এর কঠোর সমালোচনা করেছেন। এই বিষয়ে আব্দুল মালেক আল-হুথি প্রশ্ন করেন, 'গাজার মুসলমানদের সমর্থনে এতোগুলো মুসলিম রাষ্ট্র কেবল বিবৃতি প্রদান করে দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে। এটা কি দেড় শ' কোটি মুসলমানের শক্তি?    

প্রকৃতপক্ষে, গাজায় ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের ব্যাপারে আরব ও অন্য মুসলিম দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তার কারণে ইসরাইল নির্বিঘ্নে গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।  ইসরাইল এটা বুঝতে পেরেছে যে, তারা গাজায় জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালালেও আরব দেশ ও কিছু মুসলিম সরকার কিছুই বলবে না। কিছু আরব দেশ ইসরাইলকে এ বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে, ইসরাইল হামাসকে ধ্বংস করলেও তাদের কোনো আপত্তি নেই।

ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ নেতা আব্দুল মালেক আল-হুথি তার বক্তৃতায় এটাও বলেছেন, 'কিছু আরব দেশ চায় যে গাজাকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক এবং ইসরাইল কিংবা ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আসুক। অথচ স্বশাসন কর্তৃপক্ষ এমন একটি সংস্থা যারা পশ্চিম তীরকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না আর গাজাকে নিয়ন্ত্রণ করা তো দূরের কথা।

এদিকে, আরব ও মুসলিম সরকারগুলো গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার ব্যাপারে নিষ্ক্রিয় অবস্থান গ্রহণ করলেও, ইয়েমেনিরা গাজার জনগণকে রক্ষায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইয়েমেনিরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কারণে ইসরাইলি জাহাজগুলো পরিচয় গোপন করে চোরাকারবারিদের মতো বাব আল-মান্দেব প্রনালী এবং লোহিত সাগরে চলাচল করছে। ইয়েমেনের আনসারুল্লাহর নেতা এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, 'ইসরাইলিরা আরব দেশগুলোতে তাদের দূতাবাসে পতাকা উত্তোলন করলেও ইয়েমেনিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়ে জাহাজগুলোতে ইসরাইলিরা তাদের পতাকা উত্তোলনের সাহস পাচ্ছে না। কিন্তু তারপরও এই জাহাজগুলোকে টার্গেট করে হামলা চালাতে আমরা কোন দ্বিধা করবো না।'

এদিকে, রাজধানী  সানাসহ ইয়েমেনের বিভিন্ন শহরের হাজার হাজার মানুষ গাজায় ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। আনসারুল্লাহ নেতা বলেছেন, যদি ইয়েমেনের জনগণের গাজায় যাওয়ার রাস্তা থাকতো তাহলে লাখ লাখ ইয়েমেনি গাজায় চলে যেত ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য। #

342/