‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
বুধবার

১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

১০:৩১:৫৪ AM
1419807

উপর্যুপরি সাইবার হামলায় উদ্বেগে ইসরাইল; 'এটা যুদ্ধের নয়া ফ্রন্ট'

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিশ্বের সচেতন ও বিবেকবান মহলের তৎপরতা দিন দিন বাড়ছে। ইসরাইলে সাইবার হামলা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাইবার নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বলছে, ইসরাইলে গত দুই মাসে সেখানে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের দুই হাজারের বেশি ঘটনা ঘটেছে যা স্বাভাবিক প্রবণতার ১০ গুণ। বলা হচ্ছে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় সাইবার হামলা।

মজলুম ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যারা সাইবার হামলা চালাচ্ছে তারা ইহুদিবাদী ইসরাইলের কিছু নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে টার্গেট করছে না বরং তারা গাজা পরিস্থিতির প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে। এরিমধ্যে ইসরাইলের রেলওয়ে নেটওয়ার্ক, পানি বিশুদ্ধিকরণ ও বিতরণ কেন্দ্র, গণমাধ্যম এবং গোয়েন্দা ও সামরিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সেক্টরে সাইবার হামলা হয়েছে।

ইসরাইলে এর আগেও সাইবার হামলা হয়েছে, তবে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর তা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। সাইবার নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান গাবি পোর্টনয় গত বছরের শেষের দিকে ঘোষণা করেছিলেন, ইসরাইলে প্রতি মাসে কয়েক ডজন সাইবার হামলা হয়। কিন্তু এখন তাদের পরিসংখ্যান বলছে, সেখানে দৈনিক শত শত সাইবার হামলা হচ্ছে। ইসরাইলে সাইবার হামলার সঙ্গে জড়িত টিমগুলো বিভিন্ন বার্তায় তাদের হামলার উদ্দেশ্য স্পষ্ট করেছে। 'দি অ্যাভেঞ্জারস' বা প্রতিশোধকামী নামের একটি সাইবার টিম, ইসরাইলের পানি বিশুদ্ধিকরণ ও বিতরণ সংস্থার ১৮টি কেন্দ্রে সাইবার হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে। তারা সাইবার হামলার পর ইসরাইলি নেতাদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় বলেছে, অবরুদ্ধ গাজায় পানি সরবরাহ বন্ধের প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরাইলের গাজায় যেকোনো আঘাতের সমপরিমাণ পাল্টা আঘাত হানা হবে বলে তারা ঐ বার্তায় উল্লেখ করেছে। ইসরাইলের বিভিন্ন স্বার্থে সাইবার হামলা বৃদ্ধির ঘটনায় ইহুদিবাদীরা মারাত্মক উদ্বেগের মধ্যে পড়েছে। তারা এটাকে যুদ্ধের এক নতুন ফ্রন্ট হিসেবে দেখছে। সাইবার জগতটা এমন যে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকেই বিভিন্ন সেক্টরে আঘাত হানা সম্ভব।

ইসরাইলে একের পর এক সফল সাইবার হামলার মধ্যদিয়ে  ইন্টারনেট তথা সাইবার জগতেও ইসরাইলের দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। ৭ অক্টোবরের আল-আকসা তুফান অভিযানের মধ্যদিয়ে ইসরাইলের সামরিক ও গোয়েন্দা ব্যর্থতা প্রকাশ্যে আসে, ভেঙে যায় ইসরাইলের অপরাজেয় থাকার মিথ। এরপরই মানবতার শত্রু ইসরাইল গাজায় বেসামরিক মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বোমা মেরে নির্বিচারে নারী ও শিশুসহ প্রায় ২০ হাজার মানুষকে হত্যা করলেও গাজায় এখন পর্যন্ত তাদের ঘোষিত কোনো লক্ষ্যই হাসিল করতে পারেনি মানবতার শত্রু ইসরাইল।#