গতকাল লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইরানের ইংরেজি ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন ওসামা হামদান।
তিনি বলেন, গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের বর্বর আগ্রাসন, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আমেরিকার নিরঙ্কুশ সমর্থন দায়ী। এছাড়া, গাজার জনগণকে জোর করে মিশরে পাঠানোর যে চেষ্টা করছে ইসরাইল তার পেছনে রয়েছে আমেরিকায় ও ইউরোপের কিছু দেশ।
ওসামা হামদান জানান, গাজা থেকে ২০ লাখ মানুষকে গ্রহণ করার জন্য মিসরকে চাপ দিয়েছে আমেরিকা এবং বাকি পাঁচ লাখ মানুষকে গ্রহণ করার জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু আমেরিকা এ বিষয়ে মিশর ও সৌদি আরবের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়ে এখন সমস্ত গাজাবাবাসীকে দক্ষিণ অঞ্চলে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করছে।
হামাসের হাতে ইসরাইলের কত বন্দী রয়েছে- এই প্রশ্নের জবাবে হামদান বলেন, “আমরা বন্দীদের সংখ্যা প্রকাশ করছি না বেশ কয়েকটি কারণে; তার মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো- ইসরাইলের সাথে আলোচনার প্রয়োজনে এ বিষয়ে আমরা কোনো কথা বলছি না।”
ওসামা হামদান বলেন, এ পর্যন্ত তাদের হাতে বন্দি এক ইসরাইলি নারী ও তার দুই সন্তান এবং দুইজন সেনা দখলদারদের হামলায় মারা গেছে। এছাড়া, যুদ্ধবিরতির আগ মুহূর্তে ইসরাইল যে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে সে সময় ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচেই মারা গেছে আরো ১৭ বন্দি।#
342/