তিনি বলেন, হামাস কমান্ডাররা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ইসরাইলিরা প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর মাত্র ১৪% সক্ষমতা ধ্বংস করতে পেরেছে। হামাসের টানেলগুলোর দৈর্ঘ্য গোটা গাজা উপত্যকার চেয়ে বেশি বলে জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে হামাসের ড্রোন উৎপাদনের কারখানা এক ঘণ্টার জন্যও বন্ধ থাকেনি বলে জানান আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। তিনি বলেন, হামাস ৭ অক্টোবরের অভিযানের দিন ইসরাইলের বহু গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও নিরাপত্তাগত তথ্য হস্তগত করেছে।
ইসরাইল এ পর্যন্ত গাজা যুদ্ধের লক্ষ্য কয়েকবার পরিবর্তন করেছে জানিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।
তিনি বলেন, গাজা যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হচ্ছে এই যে, এই যুদ্ধে ইসরাইলকে সমর্থন দিয়ে যাওয়া হবে কিনা তা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ কোন্দল শুরু হয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ হোয়াইট হাউজের সঙ্গে ওই ভবনের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী অষ্টম তলার মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব চলছে এই নিয়ে যে, তারা কেন ইসরাইলকে এতটা উচ্চ মাত্রায় সহায়তা দেবে যখন ইসরাইলের পরাজয়কে আমেরিকার পরাজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে?
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, বর্তমান বিশ্বে আরেকটি যে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে সেটি হচ্ছে, মার্কিন আধিপত্যবাদ এখন আর নিজের সিদ্ধান্ত অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে না। তাদের আধিপত্যবাদী উপকরণ থাকা সত্ত্বেও তারা তা বাস্তবায়ন করতে পারছে না।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হামাস নামক একটি বেসরকারি আন্দোলন ১৬ বছর ধরে অবরুদ্ধ থাকার পরও আজ এমন একটি জায়গায়ে পৌঁছেছে যেখানে দাঁড়িয়ে এটি আলোচনার টেবিলে নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারছে। অথচ এটির যোদ্ধার সংখ্যা সর্বোচ্চ মাত্র ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ৭ অক্টোবরের পর থেকে ওয়াশিংটন এ পর্যন্ত বারবার তেহরানকে এই বার্তা দিচ্ছে যে, ইরান যেন এ সংঘাত থেকে দূরে থাকে। সেইসঙ্গে তারা ইরানের প্রক্সি গ্রুপগুলোকে চুপ থাকতে বলার জন্য তেহরানকে অনুরোধ করছে।
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, আমরা তাদেরকে প্রতিবার বলেছি, আমরা সংঘাতের বিস্তার চাই না। কিন্তু তোমরা মিথ্যা বলছো। তোমরা যদি সত্যিই যুদ্ধের বিস্তার না চাইতে তাহলে গাজা নামক একটি অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে গণহত্যা চালানোর জন্য ইসরাইলে সমরাস্ত্রের ঢল নামিয়ে দিতে না।#
342/