ওই সাগরে মোতায়েন মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি’র কমান্ডার দাবি করেছেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানার পর আরো দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র জাহাজটিতে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো তার নেতৃত্বাধীন যুদ্ধজাহাজ গুলি করে বিধ্বস্ত করেছে।
ইয়েমেনের একটি বন্দর থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন বার্তা সংস্থা খবর দিয়েছে। গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে ইয়েমেনের হুথি সমর্থিত সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত লোহিত সাগরের বাব আল-মান্দাব পয়েন্টে প্রায় দুই ডজন বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে। এসব জাহাজ হয় ইসরাইলি মালিকানাধীন অথবা ইসরাইলের জন্য পণ্য বহন করছিল।
আজকের হামলায় মায়ের্স্কের কন্টেইনার জাহাজটির ক্ষতি হলেও কেউ আহত হয়নি বলে দাবি করেছে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন সন্ত্রাসী মার্কিন বাহিনী সেন্টকম। এটি দাবি করেছে, জাহাজটি তার নির্ধারিত রুটে পথচলা অব্যাহত রেখেছে। ড্যানিশ মালিকাধীন ও সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজটি সিঙ্গাপুর থেকে পণ্য বহন করে ইসরাইলের হাইফা বন্দরের দিকে যাচ্ছিল।
ডেনমার্ক ইয়েমেনের সেনাবাহিনীর হামলা রুখতে লোহিত সাগরে টহলরত মার্কিন নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্সে যোগ দেয়ার একদিন পর ড্যানিশ জাহাজে হামলা হলো। গতকাল (শনিবার) ডেনমার্ক ওই টাস্কফোর্সে যোগ দিয়েছিল। ড্যানিশ কোম্পানি মায়ের্স্কসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল কোম্পানি চলতি মাসের গোড়ার দিকে লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল সাময়িক স্থগিত রেখেছিল। কিন্তু গতকাল থেকে এটি আবার জাহাজ চালাতে শুরু করে।
গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবাদে ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সামরিক বাহিনী লোহিত সাগরে ইসরাইলি জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। এছাড়া, হুথি যোদ্ধারা ঘোষণা করেছে- ইসরাইল অভিমুখী যে-কোনো দেশের জাহাজ আটক করবে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী। এই ঘোষণার পর আমেরিকা লোহিত সাগরে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। ওই টাস্ক ফোর্স প্রত্যাখান করে ইয়েমেন বলেছে, দেশটির স্বার্থে কোনো ধরনের আঘাত এলে সরাসরি মার্কিন রণতরীতে হামলা করা হবে।#