সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের সাইয়্যেদা জয়নাব এলাকায় গত ২৫ ডিসেম্বর ইসরাইলি বাহিনীর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আইআরজিসির সিনিয়র কমান্ডার সাইয়্যেদ রাজি মূসাভি শাহাদাতবরণ করেন। সিরিয়ায় ইরানের পক্ষে সামরিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে তার ওপর হামলা করে তেল আবিব।
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, সন্ত্রাসবাদের পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়ায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞের মোকাবিলায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় জেনারেল মূসাভি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন। তিনি বলেন, মূসাভির হত্যাকাণ্ড আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষার কাজে ইরানকে হতোদ্যম করতে পারবে না বরং তেহরান এক্ষেত্রে আরো দৃঢ়সংকল্প হবে।
ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, গত ৮০ দিনে ইহুদিবাদী ইসরাইল দু’টি ভয়াবহ পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে। এটি প্রথম পরাজিত হয়েছে গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের আল-আকসা তুফান অভিযান শুরুর দিন। সেদিন ইসরাইল বর্তমান বিশ্বের প্রচলিত প্রতিটি মাপকাঠিতে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাগত দিক দিয়ে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আর গাজা উপত্যকায় গত ৮০ দিনের বেশি সময় ধরে তেল আবিবের দ্বিতীয় পরাজয়ের ধারা চলছে। ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রচণ্ড প্রতিরোধের সামনে দখলদার ইসরাইল দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকার ওপর সব রকম পাশবিকতা চালিয়ে কমপক্ষে ২১,৬০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা ও ৫৬ হাজারের বেশি মানুষকে আহত করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেল আবিব তার গাজা আগ্রাসনের ব্যাপারে ঘোষিত একটি লক্ষ্যের ধারেকাছেও যেতে পারেনি।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তিন মাস আগে অত্যন্ত ঔদ্ধত্বের সঙ্গে ঘোষণা করেছিলেন, তিনি হামাসকে ধ্বংস করে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বন্দিদের জীবিত উদ্ধার করে আনবেন এবং এই উপত্যকা যেন আর কোনোদিন ইসরাইলের অস্তিত্বের জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যবস্থা করবেন।#