আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): গত ৭ জানুয়ারি কোমের গোলজার শোহাদা’তে পাশে অবস্থিত ইমাম খোমেনী (রহ.)
কমপ্লেক্সে দেশের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধানের আলোচনা এবং প্রাদেশিক ও
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে
“মিশকাত” শীর্ষক ষষ্ঠ প্রদর্শনীর
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।
এই প্রদর্শনীর ফাঁকে আবনার প্রতিবেদকের সাথে কথোপকথনে হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন হামিদ কাশানী বলেন: ইতিহাসে মরহুম নাজ্জাশী, শেইখ তুসি এবং আগা বুজুর্গ তেহরানির মতো মহান শিয়া আলেমগণের উদ্বেগ ছিল যে, আহলে বাইত (আ.)-এর মাজহাবের বলার অনেক কিছু আছে এবং এই মাজহাব যুক্তি, বুদ্ধিবৃত্তি এবং কুরআনে কারীমের উপর প্রতিষ্ঠিত।
তিনি আরও বলেন, ইতিহাসে শিয়া আলেম ও বুজুর্গগণ জানাতে চেষ্টা করেছেন যে, শিয়া আলেমদের রেখে যাওয়া কত লেখনী ও গবেষণা রয়েছে।
এই ধর্মীয় গবেষকের সংযোজন: ইসলামি হুকুমতের কারণে শিয়া লেখনী ও গবেষণা প্রচারের ক্ষেত্রে আমরা উন্নতি করলেও ইলমি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাস্তবিক উপস্থিতিতে আমাদের অবনমন হয়েছে।
তিনি আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থার প্রকাশনা সম্পর্কে বলেন, আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উপস্থিতির শূন্যতা পূরণে পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করেছে; তবে তা লক্ষ্য হতে অনেক দুরে, কিন্তু অপর সংস্থাগুলোর তুলনায় -যারা এ শূন্যতাকে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না- মাজমা যথেষ্ঠ মনোযোগী এবং লক্ষ্যবস্তুর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আশাকরি আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থা দিন দিন আরও বেশি সফলতা অর্জন করুক এবং আমরা তাদের প্রকাশনা হতে অধিক উপকৃত হতে পারি।
উল্লেখ্য যে, ধর্মীয় গবেষণা কেন্দ্রের গ্রন্থ ও শিক্ষণীয় অর্জন প্রদর্শনী “মেশকাত” ৭ হতে ১২ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
এই প্রদর্শনীতে আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থার পাশাপাশি ৮০টির অধিক ধর্মীয় প্রকাশনী, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ৬৮টি স্টলে তাদের নিজ নিজ প্রকাশনা ও গবেষণাকর্ম প্রদর্শনের লক্ষ্যে দর্শনার্থীদের জন্য উপস্থাপন করেন।#176A