‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
শনিবার

২০ জানুয়ারী ২০২৪

৭:১৮:৩০ AM
1430738

লোহিত সাগর কেন্দ্রিক জোট গঠন করতে চাই: ইয়েমেনের রাষ্ট্রদূত

ইরানে নিযুক্ত ইয়েমেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক তরফা হামলা মার্কিনীদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে এবং তারা চায় কেউ যেন তাদের হামলার জবাব না দেয়। কিন্তু ইয়েমেনের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। আমরা মার্কিন আগ্রাসনের জবাব দিতে অবিচল এবং আল্লাহর শুকরিয়া, আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরেছি।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইরানে নিযুক্ত ইয়েমেনের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম আদ-দাইলামী সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে ইয়েমেনের সর্বশেষ পরিস্থিতি, দেশটিতে সাম্প্রতিক আমেরিকা ও ব্রিটেনের হামলা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে ইয়েমেনের অব্যাহত তৎপরতার বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন।

সম্প্রতি আমেরিকা ও ব্রিটেনের হামলার প্রসঙ্গে দাইলামী বলেন: আমেরিকাসহ তাগুত রাষ্ট্রগুলোর ইসলামি দেশগুলিতে আগ্রাসন নতুন কোন বিষয় নয় এবং আমরা বিশ্বাস করি ইয়েমেনের উপর বিগত ২০ বছরের আগ্রাসনের নেপথ্যে রয়েছে আমেরিকা।

 

গাজায় ইসরায়েলি অপরাধযজ্ঞ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখব

সাম্প্রতিক আগ্রাসনের বিষয়ে নিজেদের আলোচনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তুফানুল আকসা অভিযান পরিবর্তনের ধারায় আমরা ফিলিস্তিনি জাতিকে সমর্থন করেছি এবং ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী অধিকৃত অঞ্চলে রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। আমরা আমাদের নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের কারণে ফিলিস্তিনের সমর্থনে এমন পদক্ষেপ নিয়েছি এবং ইসরায়েলের বন্দরগামী মালবাহী জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেছি।

ইয়েমেনের রাষ্ট্রদূত গুরুত্বারোপ করে বলেন, গাজার জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবো এবং আপনারা জানেন এমন পদক্ষেপ অনেক প্রভাব ফেলবে।

 

মার্কিনীরা নিজেদের প্রতিশ্রুতির বিপরীতে এই অঞ্চলে যুদ্ধের পরিসীমা বৃদ্ধি করেছে

ইয়েমেন অন্য দেশের নৌ পরিষেবা সুরক্ষার প্রতি যত্নশীল উল্লেখ করে আদ-দাইলামী বলেন, মার্কিনীরা তাদের প্রতিশ্রুতির বিপরীতে এই অঞ্চলে যুদ্ধের পরিসীমা বৃদ্ধি করেছে। এখন যুদ্ধ ফিলিস্তিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আমারা সিরিয়া ও লেবাননেও ইসায়েলের আগ্রাসন দেখছি।

তিনি বলেন, আমেরিকা ও ব্রিটেন যেমন সিরিয়া ও ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে, লোহিত সাগরে আমাদের সেনাদেরকে শহীদ করছে, তেমনি কেরমানের ঘটনার মাধ্যমে ইরানে আক্রমণ চালিয়েছে।

 

লোহিত সাগরে আমেরিকা আন্তর্জাতিক জোট গঠনে ব্যর্থ হয়েছে

সম্প্রতি লোহিত সাগরে আমেরিকার জোট গঠনের প্রচেষ্টার কথা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার এ বিষয়ে ব্যর্থ হয়েছে এবং লোহিত সাগর তীরবর্তী দেশগুলো এই জোটে অংশ নেয়নি। এই অঞ্চলের প্রভাবশালী দেশগুলো হল জর্ডান, সুদান, ইয়েমেন, সৌদি আরব, ইরিত্রিয়া, মিশর ও জিবুতি। ইয়েমেন সরকার দেশগুলোর প্রতি একটি বিরোধী জোট গঠনের আহবান জানিয়েছে। আমেরিকার জোটের বিরুদ্ধে এই দেশগুলি একে অপরকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে লোহিত সাগরে নিরাপত্তা রক্ষা করবে।

 

আমেরিকা ও ব্রিটেন কোন বৈধতা ছাড়াই ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে

আদ-দাইলামী বলেন, ইয়েমেনে হামলা ও লোহিত সাগরে অভিযান চালাতে আমেরিকা জাতিসংঘের অনুমতি নেবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। আমেরিকা ও ব্রিটেন কোন বৈধতা ছাড়াই ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে। তাদের এসব হামলার মূল উদ্দেশ্য হল ইয়েমেনকে ফিলিস্তিনের সমর্থন থেকে বিরত রাখা এবং এর মাধ্যমে ইসরায়েলকে সাহায্য করা।

 

বর্তমানে আমেরিকার সাথে যুদ্ধরত

আমেরিকার আগ্রাসনের বিপরীতে ইয়েমেনের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে? - প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বর্তমানে আমেরিকার সাথে যুদ্ধরত রয়েছি। এটা কোন প্রতিক্রিয়া ও পদক্ষেপের বিষয় না। যেমনটা বলেছি, আমেরিকার আগ্রাসন নতুন কোন ঘটনা নয়, এর আগেও আমরা এরূপ কর্মকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতি দু’ সপ্তাহ আগে শুরু হয়েছে; যখনই তারা লোহিত সাগরে ইয়েমেনের সেনাদেরকে শহীদ করেছে, আমরাও তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি এবং লোহিত সাগরে মার্কিনীদের উপর হামলা চালিয়েছি।

এই কূটনীতিক আরও বলেন, এজাতীয় হামলার পিছে আমেরিকার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনের প্রতিরক্ষায় ইয়েমেনকে বাধা দেয়ার মাধ্যমে ইসরায়েলকে রক্ষা করা। তারা তাদের এই লক্ষ্যে পৌছাতে পারেনি এবং কখনোই পারবে না।

ইয়েমেনের প্রস্তাবিত জোটের উল্লেখিত দেশগুলির প্রতিক্রিয়া কি? -প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত তাদের কোন উত্তর আসেনি। তবে আমাদের আহবান সবসময় উন্মুক্ত; তারা চাইলে যেকোনো সময় এই জোটে অংশ নিয়ে আঞ্চলিক জলসীমায় বৈদেশিক হস্তক্ষেপ রোধে দায়িত্ব পালন করতে পারে।

 

ইয়েমেনে আগ্রাসনের দলিল হিসেবে আমেরিকা ও ব্রিটেন ধারা ২৭২২ ব্যবহার করেছে

বৃহস্পতিবার, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে নিরাপত্তার অজুহাতে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে গৃহীত ধারা ২৭২২ সম্পর্কে তেহরানে নিযুক্ত ইয়েমেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, জাতিসংঘ ইয়েমেনে হামলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কোন অনুমোদন দেয়নি, তবে আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের এই ধারাকে তাদের আগ্রাসনের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করতে ব্যর্থ নিরাপত্তা পরিষদ ইয়েমেন বা অন্য কোথাও কোন সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম।

‘ইয়েমেনের বাহিনী (আনসারুল্লাহ) ইরানের প্রক্সি বাহিনী এবং ইরানের পক্ষে লোহিত সাগরে সক্রিয়’ পশ্চিমা মিডিয়ার এই দাবির বিপক্ষে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের মোটেও এমন অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার দরকার নেই। এখানে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে গাজায় ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর অপরাধযজ্ঞের পেছনে আমেরিকা রয়েছে এবং এসব অপরাধকে সমর্থন দিচ্ছে।

মার্কিন আগ্রাসন অব্যাহত থাকলে ইয়েমেন নিজেকে রক্ষায় করতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে? -এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমেরিকা এখনও ইয়েমেনে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত তাদের সাথে যুদ্ধরত রয়েছি।

 

আমেরিকার আগ্রাসনের জবাব দেয়া আমাদের কর্তব্য

রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা মার্কিনীদের এজাতীয় বোকামি না করার ব্যাপারে সতর্ক করেছিলাম; কিন্তু তারা কর্ণপাত করেনি। তাই লোহিত সাগরে যাই ঘটুক; তার জন্য দায়ী আমেরিকা।

 

আমেরিকা এই অঞ্চলে আগুন লাগানো এবং যুদ্ধ প্রসারিত করার পায়তারা করছে

দাইলামী বলেন, মার্কিনীদের দাবি, তারা যুদ্ধের ছড়ানোর বিপক্ষে। কিন্তু তাদের এই সব সম্পূর্ণ মিথ্যা; কারণ আমরা দেখছি, তারা এবং ইহুদিবাদীরা মিলে সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন এবং ইরানকে টার্গেট করেছে।

আমেরিকার তার প্রতিপক্ষকে দুর্বল করতে বলে, আমরা যুদ্ধের বিস্তৃতি চাই না। তুফানুল আকসা অভিযানের শুরুর দিকে মুখে যুদ্ধ ব্যাপক না করার বুলি থাকলেও ইহুদিবাদীদের পরাজয় টের পেয়ে বানী পরিবর্তন করে এই অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে চাইছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সফরের পর এই অঞ্চলে উত্তেজনার পরিধি প্রসারিত হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে, আমেরিকা এই অঞ্চলে আগুন লাগিয়ে যুদ্ধের প্রসার ঘটাতে চাইছে। এই অঞ্চলে যুদ্ধের বিস্তার রোধ করা আমাদের কর্তব্য। আমাদের উচিত ফিলিস্তিন এবং গাজার জনগণের প্রতিরক্ষার প্রতি মনোযোগী হওয়া।

তিনি গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমরা আমেরিকা ও ইহুদিবাদীদের এমন কিছু করতে দিব না যে, ফিলিস্তিন ইস্যু আড়াল হয়ে যায়। আমরা ইয়েমেনেও তাদের ইচ্ছা-খুশি মত হামলাও চালাতে দিব না। আমাদের উচিত তাদের হামলা করা যাতে তারা আগ্রাসন বন্ধ করে নিজেদের সংশোধন করে নয়ে।

 

ব্রিটিশরা স্বপ্ন দেখছে

ইরান ও ইয়েমেন সম্পর্কে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর তির্যক মন্তব্যের জের ধরে তিনি বলেন, ব্রিটিশরা মনে হয় নিজেদেরকে আমেরিকার চেয়েও শক্তিশালী মনে করে। এখনো তারা এ অঞ্চলে উপনিবেশবাদের স্বপ্ন লালন করে। ১৯৬৭ সালে যেমন সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে তাদেরকে বিতাড়িত করেছি; এখনও তেমনটি করতে প্রস্তুত রয়েছি।

 

আমেরিকান এবং ব্রিটিশদের একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের যুগ শেষ

ইরানে নিযুক্ত ইয়েমেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক তরফা হামলা মার্কিনীদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে এবং তারা চায় কেউ যেন তাদের হামলার জবাব না দেয়। কিন্তু ইয়েমেনের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। আমরা মার্কিন আগ্রাসনের জবাব দিতে অবিচল এবং আল্লাহর শুকরিয়া, আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরেছি।

দাইলামী বলেন, এখন আর সেই যুগ নেই যেখানে বিশ্বে একমাত্র আমেরিকা এবং ব্রিটিশ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী এবং তারা যা চাইবে তাই করবে। এখন ইসলামি দেশগুলো তাদের মোকাবিলায় রুখে দাঁড়িয়েছে। আগে দেশ দু’টি যা খুশি করতে পারত; কিন্তু এখন তাদের সশস্ত্র ও সামরিক বাহিনীকে কেউ ভয় পায় না বরং পাল্টা জবাব দেয়।

 

ইয়েমেনে মার্কিন হামলার বিষয়ে সৌদি আরবের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ

ইয়েমেনে মার্কিন ও ব্রিটিশ হামলায় সৌদি আরবের অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা এখন একটি নতুন ধাপে প্রবেশ করেছি। সৌদি আরবের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আরব ও ইসলামি দেশগুলোকে এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে আহবান জানাই। এখন যেখানে একটি ফিলিস্তিনি শিশুও আর আমেরিকানদের ভয় পায় না, সেখানে আমেরিকাকে ভয় করা আরব ও ইসলামিক দেশগুলোর জন্য অযৌক্তিক।

 

ইয়েমেনের রাজনৈতিক আলোচনার সর্বশেষ পরিস্থিতি

দাইলামী বলেন, দুই সপ্তাহ আগে জাতিসংঘ ঘোষণা করে, রাজনৈতিক আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমাদের ফিলিস্তিন ইস্যু এবং ইয়েমেনে মার্কিন আগ্রাসনকে, ইয়েমেনের সাথে সৌদির সমস্যার সাথে সংযুক্ত করা উচিত নয়। যা মূলতঃ পৃথক দু’টি সমস্যা এবং একে অপরের সাথে কোন সম্পর্ক নেই।

ইয়েমেনের সর্বশেষ মানবিক পরিস্থিতি এবং দেশটির জাতিসংঘ প্রতিনিধির সক্ষমতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৯ বছরের আগ্রাসন বিবেচনায় মানুষের জীবন অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে; কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমরা ভালো আছি।

অন্যান্য আরব ও ইসলামী দেশগুলো কি আমেরিকার আধিপত্যে লাভবান? -এ প্রশ্নের জবাবে দাইলামী বলেন, কারা ইসলামী দেশগুলোর সম্পদ লুট করছে? আমেরিকা আরব দেশগুলোর সম্পদ লুট করছে এবং দেশগুলো একারণে সমস্যায় জর্জরিত। আমেরিকার আধিপত্য দেশগুলোর জন্য চরম দুর্ভোগ ও সমস্যা সৃষ্টি করেছে।

 

সমস্যা আছে, কিন্তু…

তিনি আরও বলেন, এটা ঠিক যে, সমস্যা আছে, কিন্তু আমরা ধৈর্যশীল। এই সমস্যার কারণ, ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের সমর্থন বা ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি আগ্রাসন নয়; মূল সমস্যা আমেরিকার আধিপত্য। আল্লাহর রহমতে আমরা সম্মান ও মর্যাদার সাথে আছি। আরব ও ইসলামি দেশগুলোকে আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হবে।

আমেরিকার আগ্রাসনে নিরাপত্তা পরিষদে তারা চীন ও রাশিয়ার মতো দেশগুলোর কাছে কী ধরনের সমর্থন আশা করে? শীর্ষক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাদের নিকট কোন প্রত্যাশা আমাদের নেই। একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। আমরা আমাদের উম্মাহ ও জাতিকে বিশ্বাস করি। এটিই সবার নিকট পৌঁছে দিতে হবে।

মুসলিম উম্মাহকে জেগে উঠার এবং তাদের দায়িত্ব পালনের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, প্রতিরোধ যোদ্ধারা মুসলিম উম্মাহকে নিজ দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করবে।

 

ইসলামী দেশগুলোর উচিত মার্কিন ও ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করা

আদ-দাইলামী বলেন, আমি মুসলিম জাতিগুলিকে ইয়েমেন, লেবানন এবং ফিলিস্তিনের জনগণের মতো আচরণ করতে বলছি না। তবে তারা আমেরিকার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়াতে আমেরিকান ও ইহুদিবাদী পণ্য বর্জনের ডাক দিতে পারে। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় মিছিল এবং বিক্ষোভ গড়ে তুলতে পারে। দুই সপ্তাহের মত বিভিন্ন দেশের জনগণ রাস্তায় নেমেছিল; কিন্তু আফসোস আবার বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখা উচিত।#176A