ইরাকে মোতায়েন মার্কিন সেনারা রাজধানী বাগদাদের দক্ষিণে জুর্ফ আস-সাখার এলাকার পাশাপাশি সিরিয়ার সীমান্তবর্তী আল-কায়িম এলাকায় বিমান হামলা চালানোর পর এ আহ্বান জানালেন আরাজি।
ইরাকের সন্ত্রাস-বিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনের ঘাঁটিগুলোতে চালানো ওই হামলাকে ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এ ধরনের হামলা পরিস্থিতি শান্ত করতে মোটেও ভূমিকা রাখবে না।
আরাজি বলেন, “মার্কিন কর্তৃপক্ষকে ইরাকের একটি জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ঘাঁটিতে বোমাবর্ষণ না করে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য তেল আবিবের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।”
আস-সাখার ঘাঁটিতে মার্কিন হামলায় হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও আল-কায়িম ঘাঁটিতে মার্কিন বিমান হামলায় দু’জন নিহত ও অপর দু’জন আহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-আনবার প্রদেশে অবস্থিতি আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে এবং প্রতিবেশী সিরিয়ার একটি মার্কিন ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালিয়েছেন। ইরাকি প্রতিরোধ সংগঠন কাতায়িব হিজবুল্লাহর মুখপাত্র জাফর আল-হুসেইনি বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত দখলদার সেনাদের বিরুদ্ধে তাদের হামলা চলতে থাকবে।#
342/