ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ এনে হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা আদায় করে। গতকাল ওই মামলার বিষয়ে আদালতের ১৫ সদস্যের বিচারক প্যানেল রুলিং দিয়েছে। আদালত ওই রুলিংয়ে বলেছে, গাজায় গণহত্যা প্রতিরোধের জন্য ইসরাইলকে অবশ্যই সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি যে সমস্ত সামরিক কর্মকর্তা গণহত্যামূলক কাজের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি অবিলম্বে গাজা উপত্যকায় আরো বেশি মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ দেয়ার কথা বলেছে।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দখলদার সেনারা ২৬ হাজারের বেশ মানুষকে হত্যা করেছে এবং ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এছাড়া, হাজার হাজার মানুষ গাজায় নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হয় যে, এসব মানুষ বিধ্বস্ত ভবনের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন।
ইসরাইল নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করে গাজার প্রায় ৬০ ভাগ ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে এবং নিহত লোকজনের ভেতরে নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং মারাত্মক অসুস্থ মানুষ রয়েছেন। নিহতদের শতকরা ৭০ ভাগের বেশি নারী ও শিশু বলে বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে। এরপরেও ইসরাইলের নেতারা গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করছেন। এইভাবে নির্বিচারে বেসামরিক ও অসহায় মানুষ হত্যার পরেও যদি ইসরাইল যুদ্ধাপরাধের অভিযোগকে মিথ্যা বলে তাহলে প্রশ্ন আসে কত মানুষকে হত্যা করলে গণহত্যা হয়।#
342/