‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
শুক্রবার

২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

২:০২:০৩ PM
1434516

হামাস ইতিবাচক সাড়া দেয়নি; ইসরাইলি মিডিয়া মিথ্যা আশা তৈরি করছে

গাজায় ‘সাময়িক’ যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্যারিস বৈঠক থেকে তৈরি করা প্রস্তাব হামাস ‘ইতিবাচকভাবে’ গ্রহণ করেছে বলে ইসরাইলি গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা নাকচ করে দিয়েছে ফিলিস্তিনের একটি সূত্র। এটি লেবাননের আল-মায়াদিন টিভিকে বলেছে, তথ্যটি ‘আগ বাড়িয়ে বলা হয়েছে এবং ভুল।’

সূত্রটি আরো বলেছে, হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া প্রস্তাবটি নিয়ে মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করতে কায়রো গেলেও এখনও তিনি বিষয়টি নিয়ে কথাই বলেননি।

গত রোববার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আমেরিকা, ইসরাইল, মিশর ও কাতারের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিরা গাজায় কয়েক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ইসরাইলি পণবন্দিদের মুক্ত করার বিষয়ে একটি প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করেন এবং খসড়াটি মিশর ও কাতারের মাধ্যমে হামাসের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো বৃহস্পতিবার রাতে কাতারের উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি করে, হামাস প্রস্তাবের খসড়ায় ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে; যদিও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও তাদের অবস্থান ঘোষণা করেনি।

প্যারিস প্রস্তাবে গাজায় কয়েক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু হামাস শুরু থেকে বলে এসেছে, যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ এবং গাজা থেকে দখলদার সেনাদের প্রত্যাহার করার মাধ্যমেই কেবল ইসরাইল তার পণবন্দিদের মুক্ত করে নিতে পারবে।

এ সম্পর্কে হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, “প্রস্তাবটির ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সমঝোতা হয়নি। প্যারিসে তৈরি প্রস্তাবের ব্যাপারে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ রয়েছে। কাজেই কাতারের বিবৃতিটি অনেকটা আগ বাড়িয়ে বলা হয়েছে এবং তা সত্য নয়।”

আল-মায়াদিন বলেছে, ইসরাইল তার পণবন্দিদের উদ্ধার করতে না পারায় ইহুদিবাদীদের মধ্যে যে তীব্র হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে তা প্রশমিত করার উদ্দেশ্যে ইসরাইলি গণমাধ্যম সাধারণ জনগণের মধ্যে আশাবাদ জাগ্রত করার জন্য এ ধরনের খবর প্রচার করেছে। 

এদিকে, হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা তাহের আল-নোনো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “আমরা প্যারিসে তৈরি করা প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছি; কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো পক্ষের কাছে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাইনি।” তিনি আরো বলেন, “আমরা যেমন একথা বলছি না যে, আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি তেমনি একথা বলারও সময় আসেনি যে, আমাদের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গেছে।”#

342/