রাশিয়ার এ সংক্রান্ত তদন্তকারী দল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহিত নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বিমানটিতে মার্কিন প্যাট্রিয়ট ব্যবস্থা থেকে একটি এমআইএম-১০৪এ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
এর আগে বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক নির্বাচনি জনসভায় বলেছিলেন, “এখন এটি নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত যে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ট থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছে।” তিনি এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানান।
বেলগোরোদ অঞ্চলে বিধ্বস্ত বিমানটিতে নয়জন রুশ ক্রু এবং রাশিয়ার হাতে আটক ইউক্রেনের ৬৫ জন সৈন্য ছিল। এসব সৈন্যকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে কিয়েভের কাছে হস্তান্তর করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
রাশিয়ার তদন্ত কমিটি বলেছে যে, ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের লিপ্তসি এলাকায় মোতায়েন ইউক্রেনের সেনারা আমেরিকার দেয়া প্যাট্রিয়ট ব্যবস্থা থেকে ওই সামরিক পরিবহণ বিমানটি লক্ষ্য করে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
ইউক্রেন এখন পর্যন্ত এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার বা অস্বীকার করেনি। তবে রাশিয়ার তদন্ত কমিটির দেয়া বিস্তারিত তথ্য চ্যালেঞ্জ করে কিয়েভ বলেছে, এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক তদন্ত হতে হবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ওয়াশিংটন কিয়েভকে ৪,৪২০ কোটি ডলারের সমরাস্ত্র সরবরাহ করেছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এসব সমরাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ট। #
342/