বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের সমর্থন নিয়ে এসব হামলা চালানো হয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও বাণিজ্যিক জাহাজ এবং লোহিত সাগরে চলাচলকারী নৌযানগুলোর ওপর হুথিদের ক্রমাগত আক্রমণের জবাবে ইয়েমেনের ১৩টি স্থানের ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।
এসব হামলায় হুথিদের ‘ভূগর্ভস্থ অস্ত্র মজুত স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সরঞ্জাম, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং রাডার ব্যবস্থা-সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। তবে এসব স্থাপনা মার্কিন সেনারা কীভাবে বাছাই করেছে তা স্পষ্ট নয়।
এর আগে সন্ত্রাসী সেন্টকম জানিয়েছিল, শনিবার লোহিত সাগরের দিকে নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত করা হুতিদের ছয়টি জাহাজবিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভয়াবহ গণহত্যার প্রতিবাদে গত নভেম্বর মাস থেকে লোহিত সাগরে ইসরাইলি মালিকানাধীন ও ইসরাইলগামী জাহাজগুলোতে হামলা শুরু করে হুথি যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সেনাবাহিনী। ইয়েমেনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৬০টি হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সন্ত্রাসী কেন্দ্রীয় কমান্ড বা সেন্টকম।
ইরাক ও সিরিয়ায় ৮৫টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন আগ্রাসী হামলার পরদিন ইয়েমেনে এ হামলা চালানো হলো। ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অবস্থানগুলোতে শুক্রবার চালানো এসব হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হন। ইরাক ও সিরিয়ায় হামলার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে বাগদাদ ও দামেস্ক। #
342/