‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
মঙ্গলবার

২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

৭:১৫:৪২ PM
1440825

মারা গেছেন গাজাবাসীর প্রতি সংহতি প্রকাশকারী মার্কিন বিমান সেনা

অভিনব উপায়ে গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভয়াবহ গণহত্যার প্রতিবাদকারী মার্কিন বিমান সেনা অ্যারন বাশনিলের ভূয়সী প্রশংসা করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংগঠনটি বলেছে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বাশনেলের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

গত রোববার ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরাইলি দূতাবাসের সামনে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন বাশনেল। তার শরীরে যখন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল তখন তিনি ‘ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করো’ বলে চিৎকার দিতে দিতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তাকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করার পরপরই তিনি মারা যান।

নিজের গায়ে আগুন দেয়ার আগ মুহূর্তে তিনি এক লাইভ ভিডিওতে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানান এবং ইসরাইলকে উপনিবেশবাদী শাসনব্যবস্থা বলে আখ্যায়িত করেন। গাজা গণহত্যায় মার্কিন সহযোগিতার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তিনি আর এই গণহত্যায় অংশ নিতে পারছেন না।  বাশনেল আরো বলেন, তিনি যে উপায়ে প্রতিবাদ জানাতে যাচ্ছেন সেটি একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু তা ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর দিয়ে যা বয়ে যাচ্ছে তার চেয়ে কঠিন নয়।

বাশনেলের এই প্রতিবাদের প্রশংসা করে তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের প্রতি গভীরতম সমবেদনা ও পূর্ণ সংহতি জানিয়েছে হামাস।  সোমবার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এটি বলেছে, নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জাতির ইতিহাসে বাশনেলের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।  এই মার্কিন বিমান সেনার মৃত্যুর জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করে হামাস বলেছে, নাৎসি ইহুদিবাদী ইসরাইলের গণহত্যার প্রতি বাইডেন প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতার কারণে বাশনেল আত্মহত্যা করেছেন। হামাস আরো বলেছে, গাজায় ইসরাইল যে গণহত্যা ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছে তা বিশ্ববাসীকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতেই মার্কিন বিমান বাহিনীর ‘পাইলট’ বাশনেল আত্মাহুতি দিয়েছেন।

হামাসের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, গাজায় নাৎসিবাদী ইসরাইলের গণহত্যা অভিযানের প্রতি মার্কিন সমর্থনে যে আমেরিকার জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তা বাশনেলের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুতে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণ এই বীর সেনাকে কখনও ভুলবে না বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।#

342/