আহলে বাইত
(আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): বার্তা সূত্রে জানা গেছে যে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র
হামলা এবং অধিকৃত অঞ্চলের উত্তরে যুদ্ধের বিস্তারের ভয়ে জায়নবাদী ইহুদিরা শপিং
সেন্টারগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। ইহুদিবাদী মিডিয়া জানিয়েছে যে, লেবাননের
হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরাল্লাহ এর বক্তব্য, অধিকৃত অঞ্চলের উত্তরে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা এবং সেই সাথে ইলাত বন্দরে
প্রতিরোধ আন্দোলনের ক্ষেপণাস্ত্র পৌঁছানোর খবরে জায়নবাদীরা ভয়ে শপিং
সেন্টারগুলোতে ভিড় করছে।
এর আগে, অধিকৃত অঞ্চলের নোগা বিদ্যুৎ কোম্পানির ব্যবস্থাপক ইহুদিবাদী শাসকদের স্থাপনা ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে হিজবুল্লাহর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিল যে, গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট দেখা দেবে।
শাউল গোল্ডস্টেইন, ইহুদিবাদী শাসকদের চ্যানেল-১২ এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে, ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের পেট্রোল সংরক্ষণ এবং গাড়ির ট্যাঙ্কগুলি পূরণ করার পাশাপাশি বড় বৈদ্যুতিক ব্যাটারি কেনার পরামর্শ দিয়েছে। ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের জন্য একটি খারাপ পরিস্থিতির ভবিষ্যদ্বাণী করে সে বলেছে যে, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি শাসকের বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালাবে। অধিকৃত অঞ্চলের নোগা বিদ্যুৎ কোম্পানির ম্যানেজার আরও বলেছে যে আমরা লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহর কথা শুনেছি এবং তিনি যা বলেছেন তা আমরা বিশ্বাস করেছি। তিনি যখন বলেন যে, ইসরায়েলি গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে আঘাত করবেন, তখন তিনি ভালো করেই জানেন যে, তিনি কোন বিষয়ে কথা বলছেন।
একই সময়ে, নোগা বিদ্যুৎ কোম্পানির ম্যানেজার আরও বলে, আমরা যেকোন পরিস্থিতিতে যতটা সম্ভব প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করি। গোল্ডস্টেইনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে হিজবুল্লাহ এক বা দুটি পাওয়ার প্ল্যান্টে আক্রমণ করতে সফল হলে কী হবে? উত্তরে সে জানায় যে, কয়েক ঘন্টা আগে ঘটে যাওয়া একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হবে (প্রায় ১২০,০০০ জায়নবাদীদের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে)। গোল্ডস্টেইন আরও জানায় যে সম্ভাব্য সর্বোত্তম পন্থায় (হামলার শিকার হলে), জায়নবাদী বিদ্যুৎ কোম্পানি ২৪ ঘন্টা এমনকি ৭২ ঘন্টা মধ্যে ত্রুটিগুলি ঠিক করতে সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে, লেবাননের হিজবুল্লাহ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী শাসকের মানবতা বিরোধী বর্বর অপরাধযজ্ঞ এবং এই অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর অধিকৃত অঞ্চলের উত্তরে এই সরকারের সামরিক অবস্থানগুলিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। এটি এমন একটি বিষয় যা এই এলাকায় বসবাসকারী ইহুদিবাদীদের ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পর্যন্ত, প্রতিরোধের আক্রমণের ভয়ে কয়েক হাজার ইহুদিবাদী লেবাননের সীমান্তের কাছাকাছি বসতি থেকে পালিয়ে গেছে।#176S