‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
শনিবার

৯ মার্চ ২০২৪

৭:২৭:২৯ PM
1443228

ইরানভীতি ছড়ানোর মাধ্যমে বিশ্বের সঙ্গে প্রতারণা; ইসরাইল ও তার মিত্রদের অপতৎপরতা থেমে নেই

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেছেন, তথাকথিত আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন ইরানের বিরুদ্ধে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তা ভিত্তিহীন এবং এর আইনি কোনো ভিত্তি নেই। ইরানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে ইরান-ভীতি ছড়াতেই এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আজ (শনিবার) আরও বলেছেন, জার্মানিসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের অর্থায়নে মানবাধিকার ইস্যুতে নানা নাটকের পাশাপাশি ইরানকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর তথাকথিত আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই মিশনের পক্ষ থেকে এখন ইরানের বিষয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। তারা বাস্তবতাকে উল্টোভাবে তুলে ধরেছে।       

ইহুদিবাদী ইসরাইল, আমেরিকা ও কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ইরানবিরোধী প্রতিবেদন তৈরির ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত বলে ইরান মনে করে। কানয়ানি বলেন, এই প্রতিবেদন মানবাধিকারের মতো মহৎ ইস্যু এবং মূল্যবোধ অপব্যবহারের একটি স্পষ্ট উদাহরণ হয়ে থাকবে। অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এটা করা হয়েছে।  এই প্রতিবেদন থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে, তথাকথিত আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন  জার্মানি, ব্রিটেন, আমেরিকা ও ইহুদিবাদীদের এজেন্ডা অনুযায়ী কাজ করে এবং এই মিশনের সঙ্গে জড়িতদের বেতন পরিশোধ করে এসব দেশ ও গোষ্ঠী। এই মিশন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাকে উল্লেখিত দেশগুলোর অশুভ ও অবৈধ লক্ষ্য হাসিলের হাতিয়ারে পরিণত করেছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, তথাকথিত ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন প্রতিষ্ঠার হোতারা ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় ক্ষুব্ধ। তারা  গত বছরের নভেম্বরে ইরানকে অস্থিতিশীল করে তোলার যে ষড়যন্ত্র করেছিল তাতে ব্যর্থ হওয়ার কথা ভুলতে পারেনি। এ কারণেই তারা এ ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে ইরানি জাতির ওপর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পশ্চিমা দেশগুলোর নেতাদেরকে ইরানের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে নিজ নিজ দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবেলা করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, মানবাধিকার এবং নারী অধিকারের বিষয়ে আপনাদের কোনো ধরণের আন্তরিকতা থেকে থাকলে গাজায় হাজার হাজার নারী ও শিশুর অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার হোন। গাজায় গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রতি সমর্থন বন্ধ করুন। গাজায় পাঁচ মাসে ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। শহীদদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।#