‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
শুক্রবার

১৫ মার্চ ২০২৪

১:৩৮:৫৫ PM
1444541

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের টিকে থাকার অর্থ ইসরাইলের কৌশলগত ব্যর্থতা: হাসান নাসরুল্লাহ

লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন: আল-আকসা তুফান অভিযান ষষ্ঠ মাসে পড়লো। গতরাতে তিনি ওই অভিযানের বিচিত্র অর্জনের কথা তুলে ধরে বলেন: দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে শক্তিমত্তার সাথে লড়াই করে ইসলামি প্রতিরোধ শক্তিগুলো এখনও দৃঢ়তার সঙ্গে টিকে রয়েছে। স্বয়ং ইহুদিবাদী ইসরাইলি বিশিষ্ট বিশ্লেষকরা তাদের কৌশলগত মারাত্মক পরাজয়ের কথা নির্দ্বিধায় স্বীকার করছে।

সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ জোর দিয়ে বলছেন: প্রতিরোধ শক্তিগুলো সকল ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী এবং হামাস নেতাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এখন যুদ্ধের ৬ মাস পর নেতানিয়াহু কোনও অর্জন ছাড়াই গাজার গভীরে ঢুকে মৌখিকভাবে দাবি করছে: রাফাহ আক্রমণ না করলে নাকি যুদ্ধে হেরে যাবে বলে প্রমাণিত হবে।

হাসান নাসরুল্লাহ তাঁর বক্তব্যের ধারাবাহিকতায় ইসরাইলি যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে উদ্দেশ করে বলেছেন: তুমি যদি রাফাহতেও সেনা পাঠিয়ে আক্রমণ করো, তবুও যুদ্ধে হেরে যাবে। এমনকি তুমি হামাস কিংবা প্রতিরোধ শক্তিগুলোর কিছুই করতে পারবে না, ধ্বংস করা তো দূরেরই কথা।

লেবাননের হিজবুল্লাহ মহাসচিব ইয়েমেনের প্রতিরোধ বাহিনীর সহযোগিতা এবং গাজার মজলুম ফিলিস্তিনীদের সহায়তায় তাদের এগিয়ে আসার বিশাল বরকত ও ফলাফলের কথাও তুলে ধরেছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন: ইয়েমেনিরা বর্বর ইহুদিবাদী ইসরাইলের অর্থনীতিকে পুরোদস্তুর পঙ্গু করে দিয়েছে।

গত কয়েক মাসে গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞের পর আঞ্চলিক প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর পূর্ণ সমর্থন নিয়ে ইসরাইল গাজা উপত্যকাসহ জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে অসহায় এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর নির্বিচার গণহত্যা শুরু করেছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গাজায় ইহুদিবাদী সেনাদের হামলায় ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে এবং ৭২ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে।

ইহুদিবাদী ইসরাইলি রাষ্ট্র ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের পরিকল্পনায় সৃষ্টি হয়েছে। তারা বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদিদেরকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে অভিবাসনের মাধ্যমে ওই রাষ্ট্র তৈরি করে। ১৯৪৮ সালে ওই রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই ফিলিস্তিনিদের ওপর জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালানো এবং তাদের সমগ্র ভূমি দখল করার জন্য নানা উপায়ে বিচিত্র গণহত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করে তারা।#

342/