দখলদার সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে এ স্বীকারোক্তি দিয়ে দাবি করেছে, তারা হাসপাতালটিতে ‘অস্ত্রসস্ত্রের সন্ধান’ পেয়েছে। মিথ্যাবাদী ইসরাইল আরো দাবি করেছে, তারা আল-শিফায় গণহত্যা পরিচালনাকালে বেসামরিক ফিলিস্তিনি, রোগী, চিকিৎসা টিম ও যন্ত্রপাতির কোনো ক্ষতি করেনি বরং বেছে বেছে কথিত ‘বন্দুকধারীদের’ হত্যা করেছে।
তবে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলি বাহিনীর এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। হামাস বলেছে, দখলদার সেনাদের হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের সবাই রোগী, চিকিৎসা কর্মী ও আশ্রয় গ্রহণকারী বাস্তুচ্যুত মানুষ।
গাজার গণমাধ্যম অধিদপ্তরের পরিচালক ইসমাইল আস-সাওয়াবতা বলেছেন, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী তার ক্রমাগত এবং আইন ভঙ্গকারী অপরাধকে বৈধতা দিতে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। তিনি বলেন, ইসরাইলি সেনারা আল-শিফা হাসপাতালে হানা দিয়ে যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই গুলি করেছে। হামলায় অন্তত ২৫০ ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার অর্ধেকেরও বেশি হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্র হয় সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে পড়েছে অথবা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে দখলদার ইসরাইলি সেনাদের আটটি পাশবিক হামলায় অন্তত ১০০ ত্রাণকর্মী নিহত ও বহু লোক আহত হয়েছেন। ইসরাইলি সেনারা আল-শিফা হাসপাতাল থেকে প্রায় ৩০০ ফিলিস্তিনিকে ধরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। #
342/