মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় গতকাল (বুধবার) এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়ে বলেছে, তারা ইরান, তুরস্ক, ওমান ও জার্মানি-ভিত্তিক তিনটি ক্রয় সংক্রান্ত নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ওই নেটওয়ার্ক ইরানের ব্যালিস্কিক ক্ষেপণাস্ত্র, পরমাণু ও প্রতিরক্ষা কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ কিনে তেহরানের কাছে সরবরাহ করত।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ওই নেটওয়ার্ক এখন পর্যন্ত ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ফোর্স, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনীর রসদ বিভাগসহ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্যান্য সংস্থার কাছে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের তিনটি চালান হস্তান্তর করেছে।
মার্কিন অর্থ বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন দাবি করেন, ইরান জটিল গোপন নেটওয়ার্ক স্থাপন করে তার সমরাস্ত্র কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান বিশ্ব বাজার থেকে সংগ্রহ করে বেসামরিক নাগরিকদের জীবনের জন্য সীমাহীন ঝুঁকি তৈরি করছে।
নেলসন বলেন, এ ধরনের আরো নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করে তা ধ্বংস করে দেয়ার জন্য মার্কিন অর্থ বিভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাবে। আর যেসব দেশ ইরানকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করতে সহযোগিতা করবে সেসব দেশকেও জবাবদিহিতার আওতায় আওতায় আনা হবে।
মার্কিন সরকার এমন সময় ইরানের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যখন তেহরান সব সময় নিজের সামরিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে সম্পূর্ণ আত্মরক্ষামূলক বলে অভিহিত করে এসেছে। ইরান বলেছে, এসব কর্মসূচি ইরানের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এ বিষয়ে কারো সঙ্গে কথা বলতেও তেহরান প্রস্তুত নয়।#
342/