২০১১ সালের মার্চ মাসে সিরিয়ায় রক্তক্ষয়ী সহিংসতা ও গৃহযুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল পাশ্চাত্য ও তার আঞ্চলিক কিছু দোসর।
জাতিংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “বিগত ১৩ বছর ধরে সিরিয়ার জনগণ অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেছে এবং দেশটির সংঘাত গোটা অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।”
তিনি আরো বলেন, ২০১১ সালে ওই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু দেশ সিরিয়ায় সামরিক উপায়ে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েছে। এসব দেশ সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করে দেশটিতে তৎপর সন্ত্রাসী ও বিছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে।
ইরাভানি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আরো বলেন, দুঃখজনকভাবে ১৩ বছর পরও এসব দেশ সামরিক উপায়ে যা অর্জন করতে পারেনি তা নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে অর্জন করার চেষ্টা করছে।
ইরানের এই সিনিয়র কূটনীতিক সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনাসহ সকল বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সিরিয়ার জনগণ তাদের দেশে আর কোনো বিদেশি সেনা দেখতে চায় না। গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলা জোরদারেরও তীব্র নিন্দা জানান সাঈদ ইরাভানি।#
342/