তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা বিশেষ করে আইপি গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এ বিষয়ে ওয়াশিংটন ইসলামাবাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানান ডোনাল্ড লু।
এই বিশাল প্রকল্পের অর্থায়ন পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে লু বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিতে গভীর দৃষ্টি রেখেছে। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরানের জ্বালানী খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা অবস্থায় দেশটির কাছ থেকে গ্যাস কেনার ব্যাপারে পাকিস্তান আমেরিকার কাছে কোনো ছাড় চায়নি। এ কারণে আমরা ইসলামাবাদকে এ কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাব।
ডোনাল্ড লু দাবি করেন, আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো এই প্রকল্পে অর্থায়ন করতে রাজি হবে না বলে এটি পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষা করবে না।
উল্লেখ্য, গতমাসে পাকিস্তান সরকার বহুল প্রতীক্ষিত আইপি পাইপলাইন প্রকল্পের কাজ শুরু করার ঘোষণা দেয়। এক দশকেরও বেশি সময় আগে এই প্রকল্পের ব্যাপারে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হলেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ভয়ে এতদিন ইসলামাবাদ এটি বাস্তবায়নের কাজে হাত দেয়নি। ইরানের পক্ষ থেকে পাকিস্তান সীমান্ত পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণ করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গতমাসে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার জ্বালানি বিষয়ক কমিটি ইরান-পাক সীমান্ত থেকে পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণকাজের অনুমোদন দিয়েছে। ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত এ প্রকল্পের পাকিস্তান অংশের কাজ ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ সমাপ্ত করার কথা ছিল। চুক্তি অনুযায়ী, প্রকল্প থেকে সরে গেলে পাকিস্তান ইরানকে ১,৮০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে বলে কথা রয়েছে।#
342/