ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে এক ফোনালাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “গোটা বিশ্বের কাছে এখন এটা স্পষ্ট যে নেতানিয়াহু তার সীমার শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছেন এবং এখন বাঁচার জন্য হাত-পা ছুড়ছেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সর্বোচ্চ নেতা ইমাম খামেনেয়ী যেমনটি বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধ ও দৃঢ়চেতা অবস্থানের কারণে ইসরাইল সরকার গাজার জলাভূমিতে আটকে গেছে।
হামাসকে ধ্বংস করে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জীবিত উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় আগ্রাসন শুরু করে নেতানিয়াহু সরকার। কিন্তু আগ্রাসন শুরু করার ছয় মাস পরও সে লক্ষ্য অর্জনের ধারেকাছে যেতে পারেনি তেল আবিব। ইসরাইল যেটি করতে পেরেছে তা হচ্ছে নিরীহ ৩২ হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
ফোনালাপে গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ইরান যেসব কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে সে সম্পর্কে ইসমাইল হানিয়াকে অবহিত করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ করতে ব্যর্থতার জন্য তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের তীব্র নিন্দা জানান।
এ সময় হামাস নেতা গাজা যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলি গণহত্যা মেশিনের মোকাবিলায় প্রতিরোধ যোদ্ধারা উচ্চমাত্রার মনোবল ধরে রেখেছেন। তবে উত্তর গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে শোচনীয় উল্লেখ করে হানিয়া বলেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, দখলদার সরকার গাজায় পরিকল্পিতভাবে ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দিয়েছে।#
342/