গতকাল (শনিবার) গাজার রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শনে গিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছিলেন, ত্রাণে বাধা দেয়া ইসরাইলের একটি ‘নৈতিক আক্রোশ’ (ক্ষ্যাপা পাগলের নীতি) । তিনি বলেন, গাজায় মানবিক ত্রাণের নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার দেয়ার জন্য এখন ইসরাইলকে একটি কঠিন অঙ্গীকারে বাধ্য করার সময় এসেছে।
গুতেরেসের ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইসরাইল কাতজ এক এক্স পোস্টে লিখেছেন, “গুতেরেস আজ রাফাহর মিশরীয় অংশে দাঁড়িয়ে গাজার মানবিক পরিস্থিতির জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছেন। অথচ তিনি কিছুতেই হামাসের নিন্দা জানাননি যারা মানবিক ত্রাণ লুট করে। গুতেরেস আনরোয়ার সমালোচনা করেননি যেটি হামাসের সহযোগী। তিনি হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি পণবন্দিদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানাতেও ব্যর্থ হয়েছেন।”
ইহুদিবাদীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বললেই যেকোনো ব্যক্তি বা সংস্থাকে ‘ইহুদি-বিদ্বেষী’ বলা তেল আবিবের একটি পুরনো ও বাজে অভ্যাস; এমনকি ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি জাতিসংঘও হয়। ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার অবৈধ দখলদার সরকারের সেই পুরনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেছেন।
ওই এক্স পোস্টে তিনি আরো লিখেছেন, “গুতেরেসের নেতৃত্বে জাতিসংঘ একটি ইহুদি-বিদ্বেষী ও ইসরাইল-বিরোধী সংস্থায় পরিণত হয়েছে; যেটি সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে।”
গাজায় ইসরাইলের গত ছয় মাসের ভয়াবহ গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা জানানোয় জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত এর আগে গত জানুয়ারি মাসে অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে তার পদের ‘অযোগ্য’ বলে দাবি করেছিলেন। তিনি গুতেরেসকে জাতিসংঘ মহাসচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ারও আহ্বান জানান।#
342/