জনগণ ইসলামী প্রজাতন্ত্র চান কি না- জানতে চেয়ে গণভোটের আয়োজন করা হয়। মার্কিন সমর্থিত পাহলভি শাসনের পতনের কয়েক সপ্তাহ পরে ওই গণভোটের মাধ্যমে ইরানের জনগণ রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে অপ্রতিরোধ্যভাবে ভোট দিয়েছিলেন।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ (রোববার) একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, “আমরা ইরানের দূরদর্শী জনগণের কাছে এই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি যে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর পরামর্শ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও ভারসাম্যপূর্ণ বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করব।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৯৭৯ সালের ৩০ ও ৩১ মার্চ দুই দিনের গণভোটকে ইরানের ইতিহাসে একটি "অনন্য মহাকাব্য" হিসেবে প্রশংসা করেছে এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে ধর্মভিত্তিক গণতন্ত্রের রোল মডেল হিসেবে বর্ণনা করেছে। বিবৃতিতে কুখ্যাত পাহলভি শাসনের বিরুদ্ধে বহু বছরের লড়াইয়ে ইরানের সম্মানিত জনগণের বীরত্ব ও ত্যাগের প্রশংসা করা হয়েছে।
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র দিবসকে সামনে রেখে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, বিশ্বের অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ স্বীকার করেছেন যে, সাম্রাজ্যবাদী ও একাধিপত্যবাদের অবসানের পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের হৃদয়ে একটি নতুন শক্তির প্রকাশ হলো ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান।
১৯৭৯ সালের ৩০ এবং ৩১ মার্চ দুই দিনব্যাপী গণভোটের মাধ্যমে দেশের বৈধ ভোটারদের শতকরা ৯৮ দশমিক দুই ভাগ ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে রায় দেন। ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সফল হওয়া বিপ্লবের হাত ধরেই এদিন ইরানে ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।#
342/