গতকাল (সোমবার) বিকেলে দামেস্কের মেজ্জে এলাকায় ইরান দূতাবাস লাগোয়া কনস্যুলেট ভবনে এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান থেকে অন্তত ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দখলদার ইসরাইলি সেনারা। হামলায় ভবনটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয় এবং এর পার্শ্ববর্তী ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হামলায় সিরিয়া ও লেবাননে নিযুক্ত ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ রেজা জাহেদি ও তার ডেপুটি মোহাম্মাদ হাদি হাজি রাহিমিসহ সাত সামরিক উপদেষ্টা শহীদ হন।
সিরিয়ায় নিযুক্তি ইরানের রাষ্ট্রদূত হোসেইন আকবারি এ হামলার কঠোর জবাব দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি দখলদার ইসরাইলের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। আকবারি আরো বলেন, ইরান ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে এবং এ ধরনের হামলা চালিয়ে ওই সিদ্ধান্ত থেকে তেহরানকে টলানো যাবে না।
আইআরজিসি’র প্রতিক্রিয়া: গাজায় ‘অপূরণীয় পরাজয়ের’ শিকার হয়ে এই হামলা
দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেট আক্রান্ত হওয়ার পরপরই আইআরজিসি এক বিবৃতিতে এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিবৃতিতে হামলায় নিহত বাকি পাঁচ সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নিহত ওই পাঁচ কর্মকর্তা হলেন হোসেইন আমানুল্লাহি, সাইয়্যেদ মেহদি জালালাতি, মোহসেন সেদাকাত, আলী আগাবাবায়ি এবং আলী সালেহি রুজবাহানি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচলতা এবং প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পাল্টা হামলায় ‘অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতির’ সম্মুখিন হয়ে পাগলা কুকুরের মতো এ হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। বিবৃতিতে উপযুক্ত সময় ও স্থানে এ হামলার প্রতিশোধ নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।#
342/