‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
শুক্রবার

৫ এপ্রিল ২০২৪

২:২২:০৪ PM
1449225

গোটা ইরানই যেন ফিলিস্তিন; সাম্রাজ্যবাদী জল্লাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে ইরানি জাতি

আজ পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার বিশ্ব কুদস দিবসে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিভিন্ন শহর ও গ্রামের জনগণ মিছিল ও শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানিয়েছে। প্রতি বছরই ইরানের জনগণ দিবসটি উপলক্ষে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি ও সমর্থন জানিয়ে মিছিল করে। তবে এবার কুদস দিবস এমন সময় পালিত হচ্ছে যখন গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা পুরোদমে চলছে।

  ইহুদিবাদীদের কবল থেকে মুসলমানদের প্রথম ক্বেবলাসমৃদ্ধ নগরী বায়তুল মুকাদ্দাসকে মুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.) ১৯৭৯ সালে প্রথম এ দিবস পালন করার কথা ঘোষণা করেন যাতে বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষেরা বর্ণবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের ঘৃণা প্রকাশ করে। 

এ বছর বিশ্ব কুদস দিবস এমন সময় পালিত হচ্ছে যখন গাজা উপত্যকার নিপীড়িত ও নিরুপায় জনগণ ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর হামলার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। ইসরাইলি হামলায় হাজার হাজার মানুষে হতাহত হয়েছেন। এর পাশাপাশি সেখানে এখন দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে ও সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে এবারের কুদস দিবসে বিশ্বের সব ধর্ম, বর্ণ ও জাতির মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে ইসরাইলি অপরাধের নিন্দা জানিয়ে গাজা উপত্যকার জনগণের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছে।

আজকের মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনি পতাকা এবং ইসরাইল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে শ্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড। 

গত ৭ অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী পশ্চিমা দেশগুলোর সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা নিয়ে গাজা উপত্যকা ও জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে নিরুপায় মজলুম ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে আসছে। গাজায় শহীদের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ হাজার ৯১ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছে ৭৫ হাজার ৭৫০ জন। 

১৯১৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদী শাসকের পরিকল্পনায়  বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে আজকের ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্রটি তৈরি করা হয় এবং ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে বহু গণহত্যা এবং জাতিগত নিধন অভিযান চালিয়েছে ইসরাইল।#

342/